গৃহহীনদের ঘরের ‘দুর্নীতি তদন্ত’ দুদক বন্ধ করবে কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৭ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৩ এএম, ২৮ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের দেয়া ঘর নিয়ে দুর্নীতি বা অনিয়মের তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন কেন বন্ধ করেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন। তাদের তো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তদন্ত চালু রাখতে হবে। দেখতে হবে এসব যারা ভাঙলো, তারা কারা; তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল?
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বলতে গেলে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবারের যে ঘটনাটি ঘটেছে এখানে এক সংসদ সদস্য প্রশ্ন তুলেছেন আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এটা আমরা তদন্ত করছি। দেখা হয়েছে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি আর দশ-বারোটি জায়গায় অতিবৃষ্টি হলো, সেই বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ৩০০টি জায়গায় যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে। পুরো তদন্ত করে দেখা গেছে, সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে। আমি আগামীতে সংসদে ছবি দেখাবো। ইটের গাঁথুনির পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটাতো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা কারা করলো? তবে হ্যাঁ, কারা করেছে তদন্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অ্যারেস্ট হয়েছে, অন্যদেরও করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন? তাদের তো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তাদেরকে তদন্ত চালু রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখতে হবে সেখানে যারা ভাঙলো তারা কারা। তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, কেন ভাঙলো। সেটা যদি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে থাকে তাহলে তাদের তদন্ত করতে হবে। একজন সংসদ সদস্য বললেন, দুর্নীতি দমন কমিশন নাকি বলছে আমরা আর তদন্ত করবো কী, প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন। কিন্তু যে ভেঙেছে তার নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য ছিল। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তো এই কথা বলার কথা না। এই কথা যে কর্মকর্তা বলেছে যদি আমি জানতে পারি তাহলে তার ব্যাপারেও খোঁজ নিতে হবে। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো, যে ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটা তদন্ত তাদের করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা।
তিনি বলেন, আমরা গরিবকে ঘর করে দেবো; সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে। এখন কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে ঘর করে দিচ্ছি যাতে সহজে কেউ ভাঙতে না পারে।