ঢাকার চারপাশে এলিভেটেড ওয়ে নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২০ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদীর পাড়ের অংশে জায়গা কম, ফলে এলিভেটেড ওয়ে নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়, প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদনের সময় ঢাকার চারপাশে এলিভেটেড ওয়ে নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন তিনি। অন্যদিকে, এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ঢাকার চারপাশে এলিভেটেড ওয়ে করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ ঢাকার চারপাশে জমি কম। যাতে করে সদরঘাট ও ওয়াইজ ঘাটের মতো অবস্থা না হয় সেই জন্য ঢাকার চারপাশে এলিভেটেড ওয়ে নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ নিয়েছেন। যাতে করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বৈঠকে ‘পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি ১ হাজার ১৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৮টি বিভাগের ৫৯টি জেলার ৬৬টি উপজেলার ৬৬টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। ১৫ দশমিক ৬১ একর ভূমিতে ৩ হাজার ৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ফ্ল্যাটে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাছ থেকে ভাড়া না নেয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ফ্ল্যাট ও ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছুটা ভাড়া নেয়ার কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রীর কথায় সায় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যেন বংশানুক্রমে চাকরি পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প কিংবা আবাসনের বর্জ্য পরিশোধন ছাড়া নদীতে ফেলা যাবে না। প্রয়োজনে সমন্বিত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করে ব্যবস্থা নিতে হবে। উপকূলে বাঁধ কেটে যেন চিংড়ি চাষের প্রয়োজনীয় নোনা পানি ব্যবসায়ীরা ভেতরে প্রবেশ করাতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাঁধের নকশা চিংড়ি চাষের সহায়ক করে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লোনা পানি প্রবেশ করানোর জন্য আলাদা ড্রেনেজ উৎস তৈরি করতে বলেছেন। এখাতে চিংড়ি চাষিদের ব্যয় বহন করতে হবে।