ঢাকা টেস্ট, জিততে বাংলাদেশের চাই ২৩১ রান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
দ্বিতীয় ইনিংসে খুব একটা সুবিধা করতে পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বোলারদের তোপে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। আর তাতে বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট নির্ধারিত হয়েছে ২৩১ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করে উইন্ডিজ। বাংলাদেশ করে ২৯৬ রান। শনিবার তৃতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৪১ রান। বনার (৮) ও ওয়ারিক্যান (২) ছিলেন অপরাজিত। রোববার চতুর্থ দিনে বাকি সাত উইকেটে ৭৬ রান করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জিততে বাংলাদেশের চাই ২৩১ রান। হাতে দশ উইকেট, সময় প্রায় দেড় দিন। পারবে বাংলাদেশ? নাকি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে?
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় জোড়া আঘাত করেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ৫০ রানে প্রথম আউট হন ওয়ারিক্যান। আগের দিনের স্কোরে কোনো রান যোগ করতে পারেননি তিনি। হয়ে যান রাহীর বলে এলবিডব্লিউ। ২২ বলে দুই রান তার। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভয়ংকর রূপটা নিতে পারেননি কাইল মায়ার্স। চট্টগ্রামে ডাবল সেঞ্চুরি করা মায়ার্সকে ফেরান রাহীই।
১৬ বলে মাত্র ৬ রান করে তিনি রাহীর বলে এলবির শিকার। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৫ রান। দলীয় ৬২ রানে উইন্ডিজের পড়ে পঞ্চম উইকেট।
জুটি গড়ার সময় দেননি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। দলীয় ৭২ রানে তিনি ফেরান ব্লাকউডকে। তাইজুলের বলে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে লিটনের স্টাম্পিংয়ের শিকার ব্লাকউড। ১০ বলে ৯ রান করেন তিনি।
তবে ভালো জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন বনার ও জশুয়া ডি সিলভা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। পরের চারটি উইকেট দ্রুত নিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন তাইজুল ও নাঈম হাসান।
জশুয়াকে ফিরিয়ে সপ্তম উইকেট এই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। সৌম্যর হাতে বানান ক্যাচ। এই জুটিতে আসে ৩০ রান। ৫৩ বলে ২০ রান করে ফেরেন জশুয়া।
দলীয় ১১৪ রানের মাথায় আবার তাইজুলের আঘাত। এবার বিদায় করেন পেসার আলাজিরা জোসেফকে (৮ বলে ৯ রান)। ততক্ষণে ক্রিজে টিকে ছিলেন বনার। পথের এই কাটাকে বিদায় করেন নাঈম। করে দেন সরাসরি বোল্ড। ১২০ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন বনার। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের হয়ে এটাই কারো সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
শেষ উইকেট রাকিম কর্নওয়ালকে বিদায় করেন নাঈমই। বাউন্ডারি লাইন থেকে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন মুশফিক। ৫২.৫ ওভারে অল আউট ওয়েস্ট ইন্ডিচ মাত্র ১১৭ রানে।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল নেন চারটি উইকেট। নাঈম তিনটি, রাহী দুটি ও মিরাজ নেন এক উইকেট।