নেপালকে হারিয়ে আবারো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৪৮ পিএম, ৩০ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৫৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবারও নেপালকে হারালো বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখলো তারা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও বিরতির পর হয়েছে তিন গোল। বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেসেছে শেষ হাসি।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করেছে নেপাল। আক্রমণে এগিয়ে থেকে স্বাগতিকরা চেষ্টা করেও গোল পায়নি। শামসুন্নাহার জুনিয়রকে একাদশে রেখে বাংলাদেশ খেলছে। আক্রমণের শুরুটা বাংলাদেশ করেছে।
২ মিনিটের সময় বাংলাদেশের সামনে ভালো সুযোগ আসে। নেপালের একজন খেলোয়াড় গোলকিক নিতে গিয়ে ঠিকমতো মারতে পারেননি। বক্সের বাইরে থাকা তহুরা বল পেয়ে জোরালো শট নিলে তা ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে তার হেড গোলকিপারের হাতে জমা হয়।
১০ মিনিটে সাবিত্রা ভান্ডারির পাসে আমিশা কার্কির ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শট ক্রসবার কাঁপালে উৎসবে মাততে পারেনি দর্শকরা। প্রতিহত হলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
২৫ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোলকিপার রুপনা চাকমা বল ঠিকমতো হাতে জমাতে পারেননি, বল পেয়ে সাবিত্রা শট নেওয়ার আগেই এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। নাহলে গোল হজম করতে হতো।
৩৪ মিনিটে মারিয়া মান্দার ফ্রিকিক ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়।
পরের মিনিটে গোলকিপারের ভুলে বক্সের বাইরে মনিকা পেয়ে ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন।
বিরতির পর খেলায় উত্তেজনা বাড়ে। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। গোলও আসে এই অর্ধে তিনটি। শুরুতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ৫২ মিনিটে আক্রমণ থেকে গোল আসে। সাবিনার পাসে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডান দিকে ঠেলে দেন, সেই দেওয়া বলে বক্সের ভেতরে মনিকা ডিফেন্ডারবেষ্টিত অবস্থায় আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল ঠেলে দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাতেই উৎসবে মাতে লাল সবুজ দল।
চার মিনিট পর নেপাল সমতায় ফেরে। সাবিত্রা ভান্ডারির দারুণ এক পাসে আমিশা কির্কি বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিখুঁত শটে সমতা ফেরান। নিস্তব্ধ গ্যালারি জেগে ওঠে আনন্দে।
এরপর আরও তিনটি আক্রমণ থেকে গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৬১ মিনিটে সাবিত্রার শট দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্দার জোরালো শট গোলকিপার আঞ্জিলা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাত দিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন।
১০ মিনিট পর রাশমির শট মাসুরার পা হয়ে গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন। দুই মিনিট পর বাংলাদেশ ম্যাচের লাগাম নিজেদের করে নিতে শুরু করে। ঋতুপর্ণার কর্নারে শামসুন্নাহার জুনিয়র ঠিকমতো লক্ষ্যে হেড নিতে পারেননি। বল মাথা ছুঁয়ে পোস্টের পাস দিয়ে চলে যায়।
তবে ৮১ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ায়। শামসুন্নাহার সিনিয়রের থ্রো ইনে ঋতুপর্ণার বাঁ পায়ের সরাসরি ভাসিয়ে দেওয়া বল গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে দ্বিতীয় পোস্টের মাঝামাঝি ভেতরের অংশে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
স্বপ্না রানী নামেন সাবিনার জায়গায়। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে কোনও দলই পারেনি গোল করতে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের শিবিরে বাধভাঙা আনন্দ। হাজারো দর্শককে স্তব্ধ করে সাবিনা-তহুরাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। গোলাম রব্বানী ছোটনের পর পিটার বাটলারও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন!
বাংলাদেশের একাদশ: রুপনা চাকমা, আফঈদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, শিউলী আজিম, সাবিনা খাতুন(স্বপ্না রানী), শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও তহুরা খাতুন।
দিনকাল/এসএস