টানা তৃতীয় ম্যাচে জয় পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ৯ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:১৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিপিএলে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তিনি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয় পেয়েছে মাশরাফীর নেতৃত্বাধীন দলটি।
আজ সোমবার (০৯ জানুয়ারি) টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
ব্যাট হাতে এদিনও তৌহিদ হৃদয় পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। আজকের জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে সিলেট।
মিরপুরের এ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট।
ব্যাট হাতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৪৯ রান সংগ্রহ করে ইমরুল কায়েসের দল। ব্যাট হাতে আজ ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন ব্যর্থ হলেও একপাশ আগলে রাখা জাকের আলির অপরাজিত ৪৩ বলে ৫৭ রানে মান বাঁচায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
আজও বড় হয়নি কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৯ রানেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২২ বলে ২৮ রান এলেও ১২ বলে ২০ রান করে সৈকত আলি ফিরলে ভাঙে এই জুটি। পরেও ওভারেই মাত্র ২ রান করে ফিরেন ইমরুল। ফলে পাওয়ার প্লেতে আসে ৩ উইকেটে ৩৭ রান।
এরপর জাকির আলিকে নিয়ে ৫১ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন ডেভিড মালান। তবে ৩৯ বলে ৩৭ রান করে মালান বিদায় নিলে দাঁড়াতে পারেনি আর কেউ। শুধু একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে যান জাকির। মোসাদ্দেক ৫ ও মোহাম্মদ নাবি ৮ রান করেন। তবে শেষ দিকে আবু হায়দার রনির ৪ বলে অপরাজিত ৭ রান কুমিল্লাকে পৌঁছে দেয় ১৪৯ রানে।
বল হাতে থিসারা পেরেরা ও মোহাম্মদ আমির শিকার করেন দুটো করে উইকেট, ১টি করে উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম ও মাশরাফী বিন মর্তুজা।
কুমিল্লার দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১২ রানেই মোহাম্মদ হারিসকে হারালেও পথ হারায়নি সিলেট। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫২ রান। যেখানে বড় অবদান তৌহিদ হৃদয়ের। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটেই পুরো ইনিংস নিয়ন্ত্রণ করে সিলেট, ১০ ওভারে ৩ উইকেটে তুলে ফেলে ৮৬ রান। মাঝে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ আর জাকির হাসান ১০ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলে সাজঘরে ফিরেন।
মুশফিকুর রহিমের সাথে ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে আউট হন তৌহিদ হৃদয়, তবে আউট হবার আগে জয় করেছেন সিলেটবাসীর হৃদয়। ৩ চার আর ৪ ছক্কায় হৃদয় খেলেন ৩৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। বাকি পথটা দলকে নিয়ে এগিয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমই। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। মাঝে থিসারা পেরারা আউট হন ৮ রান করে।