দুর্দান্ত এক কামব্যাক ম্যাচে হাঁপ ছেড়ে বাঁচল বার্সেলোনা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:০২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গ্রানাডার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্তও ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বার্সেলোনা। কোপা দেল রে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা পেয়ে বসেছিল তাদের। কিন্তু কাল রাতে ভীষণ রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে দুর্দান্ত এক ‘কামব্যাক’-এর গল্প লিখেছে রোনাল্ড কোমানের দল।
আঁতোয়ান গ্রিজমান ও জর্দি আলবার গোলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সমতায় ফেরে বার্সা। খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। টান টান উত্তেজনার মধ্যে আরও তিন গোল করে গ্রানাডাকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে উঠেছে বার্সাই। নিজে জোড়া গোল করে ও আরও দুটি গোল বানিয়ে বার্সার এই ঘুরে দাঁড়ানোয় নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড গ্রিজমান।
প্রথমার্ধে গ্রানাডা যেকোনো মুহূর্তে গোল হজম করতে পারত। দাপট দেখাচ্ছিলেন মেসি-গ্রিজমানরা। কিন্তু ৩৩ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে বসেন নিউক্যাসল থেকে ধারে গ্রানাডায় খেলা কেনেডি। বিরতির পর স্পেনের সাবেক স্ট্রাইকার রবার্তো সোলদাদো এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ট্রেডমার্ক দৌড়ে বার্সার রক্ষণকে পেছনে ফেলে গোল করেন সোলদাদো। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে বার্সা যখন ছিটকে পড়ার শঙ্কায়, ঠিক তখনই গোল করে বসেন গ্রিজমান। মেসির লব থেকে গোল করেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।
গ্রিজমানের গোলের কিছুক্ষণ পরই গ্রানাডার গোলপোস্ট কাঁপান মেসি। তাঁর দুর্ভাগ্য, বল পোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অবশ্য যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির নিখুঁত ক্রস থেকে গোল পেয়ে যায় বার্সা। মেসির ক্রস থেকে গ্রিজমানের হেড এবং তারপর সমতাসূচক গোল করেন আলবা। ১০০ মিনিটের মাথায় গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু এর ৩ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ফেদে ভিকোর গোলে আবারও সমতায় ফেরে গ্রানাডা (৩-৩)। এরপর আলবা ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং আরও দুটি গোল করেন বার্সেলোনার হয়ে।
১০৮ মিনিটে মেসির ডান পায়ের শট রুখে দিয়েছিলেন গ্রানাডা গোলরক্ষক। ফিরতি বলে গোল করেন বার্সার ডাচ্ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ১১৩তম মিনিটে গিয়ে আলবাকে দুর্দান্ত এক পাস দেন গ্রিজমান। বক্সে জটলার মধ্য থেকে বাঁ প্রান্তে বাতাসে ভাসানো পাস বাড়িয়েছিলেন আলবাকে। চলতি বলেই দারুণ ভলিতে বার্সাকে ৫ নম্বর গোলটি এনে এ স্প্যানিশ লেফটব্যাক।
গোটা ম্যাচে গ্রানাডার গোলপোস্ট তাক করে ৩৬টি শট নিয়েছে বার্সা। এর মধ্যে ২০টি শটই ছিল গোলপোস্টের ভেতর। ২০১৪ থেকে ২০১৯—এ সময়ের মধ্যে ছয়বার কোপা দেল রে ফাইনাল খেলেছে বার্সা। শিরোপা জিতেছে চারবার, কিন্তু গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হেরে যায় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে। ৮ গোলের রোমাঞ্চকর এ ম্যাচের পর বার্সা কোচ কোমান বলেন, ‘ফুটবল অবিশ্বাস্য এক খেলা। আমরা আগেই জেতার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু যোগ সময়ে নিজেদের মানসিকতাটা দেখিয়েছে খেলোয়াড়েরা।’