২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ২৭ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত নারীদের চারটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আয়োজক চূড়ান্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২৪ সালে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ১০ দলের এই আসরে মোট ম্যাচ হবে ২৩টি।
২০১৪ সালের পর আবারও নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০২৫ সালে নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত।
২০২৬ সালে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে এবং ২০২৭ সালে নারীদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) লন্ডনে আইসিসির বোর্ড সভায় আয়োজকদের নাম চূড়ান্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ক্লেয়ার কনর, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং রিকি স্কারিটসহ মার্টিন স্নেডেনের সভাপতিত্বে একটি উপ-কমিটির তত্ত্বাবধানে একটি প্রতিযোগিতামূলক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয়োজকদের নির্বাচন করা হয়েছে। আইসিসি বোর্ড কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে এই উপ-কমিটি প্রতিটি বিডের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা পরিচালনা করে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর আয়োজক স্বত্ব পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত খবর। বিসিবির পক্ষ থেকে, আমি এই সুযোগটির জন্য আইসিসি বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই যখন নারীদের খেলার বিকাশ ও প্রসার ঘটছে এমন সময়ে বাংলাদেশকে নারীদের ইভেন্টটি উপহার দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘বিশেষ করে, এটি বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটের জন্য একটি বাঁক বদলের মুহূর্ত হবে। কারণ, এই ইভেন্টটি ছোট ছোট মেয়েদে এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারী ক্রিকেটারদের বড় স্বপ্ন দেখাতে অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের নারীরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে এবং ঘরের মাঠে এই বিশ্ব ইভেন্টটি আমাদের দেখানোর একটি আদর্শ সুযোগ হবে যে আমরা সেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে এবং আমার কোন সন্দেহ নেই যে আমরা ২০২৪ সালে একটি বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট উপহার দেবো।’
আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ, ভারত, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কাকে আইসিসি নারীদের সাদা বল ইভেন্টের আয়োজক করতে পেরে আনন্দিত। নারীদের খেলার বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা হলো আইসিসি’র কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে একটি এবং এই ইভেন্টগুলিকে খেলাধুলার সবচেয়ে বড় মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ দেয় এবং ক্রিকেটের এক বিলিয়নেরও বেশি ভক্তদের সাথে গভীরভাবে যোগাযোগ ও সংযোগ স্থাপন করে দেয়।’