পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ১২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো অস্ট্রেলিয়া। আর তাতেই এই ফরম্যাটে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তানের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা করেন ডেভিড ওয়ার্নার আর শেষটা করেন মার্কুস স্টোয়িনিস ও ম্যাথু ওয়েড। তাতেই দারুণ জয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে অজিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে দুবাইতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় অজিরা। ব্যাট হাতে চার ছয় ও দুই চারে ১৭ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ওয়েড। তার সঙ্গে থাকা স্টোয়িনিস দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩১ বলে করেন ৪০ রান।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের তৃতীয় বলেই শাহীন শাহ আফ্রিদির লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। রিভিউ না নিয়েই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের বলে মিচেল মার্শের সরাসরি জুতায় লাগায় আবারও আবেদন করেন আফ্রিদি। কিন্তু তাতে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় আপিল করে পাকিস্তান। যদিও আম্পায়ার্স কলে রক্ষা মিলে মার্শের।
পরের ওভারগুলো পাকিস্তানের ভালো হয়নি। ইমাদ ওয়াসিম কিংবা হারিস রউফ উভয় বোলারকে হাত খুলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ওয়ার্নার-মার্শ। পাওয়ার প্লেতে ৫২ রানের তোলা এই জুটিকে সাজঘরে ফেরান সাদাব খান। ২১ বলে ২৮ রান করে আসিফ আলীর ক্যাচে ফেরেন মার্শ। খানিক পরে ফেরেন স্টিভেন স্মিথ। তবে অন্যপ্রান্তে রান তাড়ায় বাউন্ডারি হাঁকানো চলমান রাখেন ওয়ার্নার।
১১তম ওভারের প্রথম বলে এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে ফেরান সাদাব। ২৯ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তাতেই বড় ব্রেক থ্রু পায় পাকিস্তান। পরের ওভারে এসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান সাদাব। ১০ বলে মাত্র ৭ রান করে রিভারসুইপ করতে গিয়ে রউফের তালুবন্দি হন তিনি।
দলের বিপদে দারুণ জুটি গড়েন মার্কুস স্টোয়িনিস ও ম্যাথু ওয়েড। এই যুগলের দারুণ প্রতিরোধ ম্যাচ সহজ করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। শেষ চার ওভারে ৪৯ রান প্রয়োজন ছিল অজিদের। তিন ওভারেই তা তুলে নেয় এই জুটি। তাদের ৮১ রানের জুটিতে পথ ফিরে পায় অজিরা। আগামী রোববার রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে তারা।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকে রান তোলায় নজর দেন বাবর আজম। অন্য প্রান্তে খানিকটা সময় নেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শূন্য রানে ফিরতে পারতেন রিজওয়ান। কিন্তু অনেকখানি সরে এসেও বলটি ঠিকঠাক তালুবন্দি করতে পারেননি ডেভিল ওয়ার্নার।
দারুণ জুটি গড়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তোলে এই যুগল, যা পাকিস্তানের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পাওয়ার প্লে'র রান। এই সময় চার বোলারকে ব্যবহার করেও পাকিস্তানকে আটকাতে পারেনি অজিরা। এই যুগলের ৭১ রানের এই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ওয়ার্নারের দুর্দান্ত ক্যাচ হন তিনি। ৩৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি।
তিনে আসা ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান। শূন্য রানে জীবন পাওয়া এই ওপেনার ৪১ বলে তোলেন বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত তৃতীয় অর্ধশতক। ব্যক্তিগত ৬৭ রানে এই ব্যাটসম্যানকে থামান মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান আসিফ আলীকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান প্যাট কামিন্স। শেষ ওভারে মাত্র এক রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন শোয়েব মালেক। তবে ক্রিজে থেকে ঝড়ো ব্যাটে ৩১ বলে অর্ধশতক তোলা ফখর জামানের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।