পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না তামিম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০৫ এএম, ২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জিম্বাবুয়ে সফরে ইনজুরি নিয়ে ওয়ানডে সিরিজ খেললেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলেননি তামিম ইকবাল। পরবর্তীতে আঙুলের ইনজুরিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না। এরপর হুট করেই বিশ্বকাপ দল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। তামিম এখন জানালেন, সফরকারীদের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন না তিনি। তবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরার ইচ্ছা আছে ওয়ানডে অধিনায়কের।
বিশ্বকাপের আগেই তামিমের চোট কাটিয়ে ফেরার কথা ছিল। তারপরও দল ঘোষণার আগে নিজ থেকেই বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ান। এই সময়ে নেপালের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। সেখানে অবশ্য খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। আগামী ১৬ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি দিয়ে সিরিজ শুরু হলেও তামিম টেস্ট সিরিজ দিয়েই মাঠে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে।
টেস্টের আগে জাতীয় লিগের (এনসিএল) দুটি রাউন্ড খেলবেন তামিম। বিসিবির মেডিকেল টিমের সঙ্গে কথা বলেই এনসিএলে খেলার সিদ্ধান্ত নেবেন এই ওপেনার। তামিম বলেছেন, আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমি এনসিএলের পঞ্চম রাউন্ডে খেলার পরিকল্পনা করছি।০
এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলে আসলেও তামিম জানাচ্ছেন তিনি এখনও চোটমুক্ত নন, আঙুলের ইনজুরি এখনও পুরোপুরি সারেনি। তিন সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করেছি, আরও এক সপ্তাহ বাকি আছে। এরপর আমি ব্যাটিং শুরু করতে পারবো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি। ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। বাকি টেস্টটি মিরপুরের মাঠে গড়াবে ৪ ডিসেম্বর।
বিশ্বকাপ ময়দান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে চলে আসবে পাকিস্তান দল। বাংলাদেশে এসে একদিনের কোয়ারেন্টিন করে ১৯ নভেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সিরিজ একটি ভেন্যুতে হলেও পাকিস্তান সিরিজ হবে দুই ভেন্যুতে।