হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ ওভারে হারলো টাইগার যুবারা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪১ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হতাশ করেছিলেন ব্যাটসম্যানরা, তবে আশা জাগান বোলাররা। মাত্র ১৫৫ রানের পুঁজি নিয়েই আফগান যুবাদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে রাখা সম্ভব হয়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ ওভারে জিতেছে আফগানরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছিল ১৫৫ রান। জবাবে ৭ উইকেট হারালেও শেষ ওভারে গিয়ে ৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে আফগানরা।
অবশ্য সফরকারীরা শেষ ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জয়ী দলের নাম বদলাচ্ছে না। কেননা প্রথম তিন ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল টাইগার যুবারা। তবে শেষ দুইটি ম্যাচ জিতেছে আফগানরাই। ফলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সিরিজটি জিতলো ৩-২ ব্যবধানে।
১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৪ রানে ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রান যোগ করে দলকে জয়ের রাস্তায় তোলেন ইশহাক জাজাই ও মোহাম্মদ নাজিবউল্লাহ। দলীয় ৭৩ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ রান করেন নাজিবউল্লাহ।
এরপর বেশি কিছু করতে পারেননি বিলাল আহমেদ, আউট হন ২ রানে। দলীয় সংগ্রহটা একশ ছোঁয়ার ঠিক আগে ইশহাক জাজাইকে ফেরান আশিকুর জামান। আউট হওয়ার আগে ইশহাকের ব্যাট থেকে আসে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস। দলীয় ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়ে আফগানরা।
তাদের বিপদ আরও বাড়ে ইনিংসের ৩৬তম ওভারে ১০৬ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটলে। এরপর রয়ে-সয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক ইজাজ আহমেদ ও ইজহারুল হক নাভিদ। এ দুজনের সপ্তম উইকেট জুটিতে আসে ৪৩ রান। মূলত এ জুটিতেই জয়ের সুবাতাস পায় আফগানরা।
ইনিংসের ৪৯তম ওভারের শেষ বলে জয়ের জন্য ৭ রান বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ইজাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ বলে ৩২ রান। ফলে শেষ ওভারে বাকি থাকে ৭ রান। শেষ ওভারটি করেন ততক্ষণে ৩ উইকেট নেয়া আশিকুর। তার প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ইজহারুল। পরে তৃতীয় বলে চার মেরে নিশ্চিত করেন দলের জয়।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতো এবারও শুরুটা খারাপ ছিল না। কিন্তু সিরিজের নিয়মিত ঘটনা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া, সেটা হয়েছে এই ম্যাচেও। মাহফিজুল ইসলাম (১১) আর ইফতেখার হোসেন (২৬) উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছিলেন ৪৮ রান। ১২তম ওভারে এই জুটি ভাঙার পরই দুর্দশার শুরু। আফগান বোলারদের তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা।
দলের পক্ষে একজন ব্যাটসম্যান চল্লিশও করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে আবদুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে। অতিরিক্ত খাতা থেকে ২৬ রান যোগ না হলে লজ্জাটা বাড়তো আরও। আফগান বোলারদের মধ্যে বিলাল সামি আর নানগেয়ালিয়া খারোতে নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।