ম্যানইউ এর জার্সিতে রোনালদোর রাজকীয় পুনরাভিষেক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২২ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সময়ের চাকা ঘুরিয়ে ২০০৩ সালে যাওয়া যাক। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তখন ১৮ বছরের টগবগে এক তরুণ। ১৮ বছর আগে আগস্টের এক সন্ধ্যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। সেদিন বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কাল ম্যান ইউনাইটেডে তাঁর পুনরাভিষেক হলো। আর সেই পুনরাভিষেক এতটাই দুর্দান্ত হয়েছে যে রোনালদোর নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগছে। ইউনাইটেডের হয়ে আবার মাঠে ফেরার দিনটা যে তাঁর এতটা ভালো কাটবে সেটা তিনি আশাই করতে পারেননি।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ দিয়ে কাল ম্যান ইউনাইটেডের জার্সিতে নতুন করে অভিষেক হয়েছে রোনালদোর। দলের ৪-১ গোলের জয়ে পর্তুগিজ তারকা করেছেন জোড়া গোল। ম্যাচ শেষে বিবিসি স্পোর্টকে রোনালদো বলেছেন, ‘দুই গোল করব বলে আশা করিনি আমি। একটা গোল পাব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু দুটি গোল পাওয়ার আশা আমি করিনি।’
এরপর তিনি ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রোনালদোর পুনরাভিষেকের সাক্ষী হতে কাল ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারিতে ছিল ৭৬ হাজার দর্শক। তাদের সবার কণ্ঠেই ছিল ‘রোনালদো, রোনালদো’ স্লোগান। এটা দেখে তো রীতিমতো মুগ্ধ রোনালদো, ‘সমর্থকেরা আজ (গতকাল) আমার সঙ্গে যা করেছে, তাদের প্রশংসা করতেই হবে। নিজেকে গর্বিত মনে হয়েছে।’
সবকিছু মিলিয়ে এমন অভিষেকে মহাখুশি রোনালদো, ‘এটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচ শুরু করার সময় আমার খুব নার্ভাস লাগছিল। এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া আমি আশা করতে পারিনি যে তারা পুরো ম্যাচে আমার নামে গান গাইবে। নার্ভাস না থাকলেও সেটা আমি বুঝতে দিতে পারতাম না। তারা যেভাবে আমাকে বরণ করে নিয়েছে সেটা এক কথায় অসাধারণ।’
সব শেষে রোনালদো ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় সাফল্যকেই এগিয়ে রাখলেন, ‘আমি এখানে ম্যাচ জিততে আর দলকে সাহায্য করতে এসেছি। নিশ্চয়ই আমি গোল করে আনন্দিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দল। আর দল ভালো খেলেছে।’
রোনালদো প্রথম যখন ম্যান ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছেন, তাঁর বয়স ছিল ১৮। আর এখন তাঁর বয়স ৩৬ বছর। তবে এই বয়সেও যে তিনি ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমাণ করতে পেরে আনন্দিত পর্তুগালের অধিনায়ক, ‘আমার জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য এক মুহূর্ত। আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। ভাবছিলাম আমি ভালো খেলতে চাই আর দলকে যে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার আছে সেটা দেখাতে চাই।’ রোনালদো সেটি দেখাতে পেরেছেন বলে নিজের কাছেই গর্ব অনুভব করছেন।