ইউরোপে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, বেলজিয়ামের জয়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
এক দিক দিয়ে রাতটা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য হতাশার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটা হতে হতেও হলো না যে! একইসঙ্গে মেসি-নেইমারদের জাদু দেখার সুযোগ কি আর বারবার হয়? কিন্তু করোনাবিধি না মানা নিয়ে তুলকালাম লাগায় সে ম্যাচটা স্থগিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছে আজ, যা মন ভরিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের।
বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বড় দলগুলো। তবে ইউরোপের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, বেলজিয়াম ও পোল্যান্ড বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও হতাশ করেছে ইউরোজয়ী ইতালি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তাঁরা।
প্রথমে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ছিল অপেক্ষাকৃত সহজ দল অ্যান্ডোরা। সহজ দল পেয়েই কি না, বেঞ্চের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে সুযোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডের জোড়া গোলের সঙ্গে টটেনহাম হটস্পারের হ্যারি কেইন ও আর্সেনালের বুকায়ো সাকার এক গোল মিলিয়ে অ্যান্ডোরাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ওদিকে জর্জিয়াকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। ভ্যালেন্সিয়ার দুই তারকা লেফটব্যাক হোসে লুইস গায়া ও মিডফিল্ডার কার্লোস সোলের আর ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার ফেরান তোরেসের গোলে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা। দ্বিতীয়ার্ধে সদ্যই স্পোর্তিং লিসবনে যোগ দেওয়া সাবেক পিএসজি উইঙ্গার পাবলো সারাবিয়ার গোলে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। সারাবিয়া আর গায়া আরও দুই গোল করলেও ভিএআরের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেগুলো।
চেক প্রজাতন্ত্রকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। আট মিনিটেই চেলসি স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়ানরা। ৪১ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার এদেন হ্যাজার্ড ব্যবধান বাড়ান। ৬৫ মিনিটে এসি মিলানের উইঙ্গার আলেক্সিস সালেমেকার্সের গোলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।
ওদিকে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ শক্তিশালী দল নিয়েও গোলশূন্য ড্র করতে হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। ইউরোর ফর্ম এই ম্যাচেও নিয়ে এসেছিলেন সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমের। ইউরোতে স্পেন আর ফ্রান্সের বিপক্ষে একের পর এক সেভ করা সোমের আজ ইতালির বিপক্ষে সেভ করেছেন সাতটা।
তবে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে পোল্যান্ড আর জার্মানি। আরমেনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জার্মানি। আরমেনিয়াকে গুনে গুনে আধ ডজন গোল দিয়েছে তাঁরা। প্রথমার্ধেই চার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। ১৫ মিনিটেই জোড়া গোল করে বসেন বায়ার্ন মিউনিখের উইঙ্গার সার্জ গেন্যাব্রি। ৩৫ মিনিটে চেলসি স্ট্রাইকার টিমো ভের্নারের সহায়তায় গোল পেয়ে যান বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস।
প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে গোলের খাতায় নাম তোলেন ভের্নারও। ৫২ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করে দেন বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের স্ট্রাইকার জোনাস হফম্যান। ম্যাচের একদম শেষদিকে রেড বুল সালজবুর্গের স্ট্রাইকার করিম আদেয়ামির গোলে ৬-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি।
সান মারিনোর বিপক্ষে পোল্যান্ড জার্মানির চেয়ে এক গোল বেশি করলেও হজম করেছে একটি গোল। দলের মূল তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি আর তাঁর বিকল্প অ্যাডাম বুকসা মিলেই করেছেন পাঁচ গোল। নিউ ইংল্যান্ড রেভোল্যুশানের স্ট্রাইকার বুকসা করেছেন হ্যাটট্রিক। একটি করে গোল করেছেন মিডফিল্ডার ক্যারল লিনেত্তি আর ক্যারল সুইদেরস্কি।