বিসিবির সুরক্ষা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিনিধি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৪৪ এএম, ৪ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৩৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনাভাইরাসের কারণে গেল মার্চ থেকে দেশের ক্রিকেট অচল হয়ে পড়ে। গেল মাসে প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশে ক্রিকেট ফেরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এখন বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ দিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিসিবি।
এই টুর্নামেন্টটিকে দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ড্রেস-রিহার্সেল বলা চলে। কারণ আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে বললেই বাংলাদেশ সফরে আসতে পারবে না কোনো দল, এমনকি বাংলাদেশও কোনো দেশ সফর করতে পারবে না। করোনার কারণে সারা বিশ্বই এখন সতর্ক। তাই জাতীয় দলকে বাংলাদেশে পাঠানোর আগে এখানকার সুরক্ষা-বলয় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
প্রস্তাবিত দুটি ভেন্যু ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কড়া স্বাস্থ্য বিধি ও সুরক্ষা-বলয়ের পরিদর্শন শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
গত শনিবার ঢাকায় আসেন প্রতনিধি দলের দুই সদস্য ড. অক্ষয় মানসিং এবং পল সেøাওয়ে। অক্ষয় মানসিং আইসিসি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেডিক্যাল দলের সদস্য ও বোর্ডের পরিচালক। আর পল হলেন দলের নিরাপত্তা ম্যানেজার। মানসিং বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনায় আমরা সন্তুষ্ট। সময় বদলাতে শুরু করেছে। সবাই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আগ্রহী। আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফর সম্ভব কিনা, সেটি দেখতেই আমরা এখানে এসেছি। বলতেই হবে, বিসিবি যে প্রটোকলের কথা আমাদের জানিয়েছে, তা বেশ সন্তোসজনক। ঢাকা ও চট্টগ্রমে যা দেখেছি, আমরা তাতে খুশি। এখানকার পরিস্থিতি ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিচালকদের জানাবো। এখানে যে ব্যবস্থাপনা আমরা দেখেছি, তা বিশ্বের যে কোনো জায়গার মতোই ভালো।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে আসার আগে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছি এবং বিসিবির প্রটোকল সম্পর্কে শুনেছি, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিসিবি আমাদেরকে প্রটোকলসমূহের যে বর্ণনা দিয়েছে, সেগুলো দারুণ ছিলো। আমাদের আসার আগে তাদের দুটি টুর্নামেন্ট হয়েছে এবং একটি চলমান, সুতরাং জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। যে হাসপাতাল ও হোটেলগুলোয় আমরা গিয়েছি, সেগুলো কোভিড-১৯-এর জন্য আন্তর্জাতিক মানের। তাই স্বাস্থ্য দিক বিবেচনায় আমরা খুবই খুশি। কোয়ারেন্টাইন ও কোভিড প্রটোকল নিয়েও কথা বলেন মানসিং।
তিনি বলেন, এখানে আসার আগে একবার কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে আসতে হবে। আসার পর আরও তিন দফায় পরীক্ষা হবে। প্রটোকল অনুযায়ী, ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর মধ্যে তিন দিন থাকতে হবে কক্ষেই। তৃতীয় দিনের পর দ্বিতীয় দফা কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে আমাদের অনুশীলনের সুযোগ মিলবে, তবে সেটি কেবল নিজেদের মধ্যেই। ৭ দিন না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কারও সংস্পর্শে আসা যাবে না। ৭ দিন পর আমরা বাংলাদেশের ছেলেদের সাথেও নেট সেশন করতে পারবো।
সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা দু দলের।