অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ বন্ধ করলো ডেনমার্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২৪ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ বন্ধ করেছে ডেনমার্ক।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ এর আগে এই টিকা প্রয়োগ সাময়িক স্থগিত করলেও এই অঞ্চলে ডেনমার্কই প্রথম টিকাটি পুরোপুরি বন্ধ করল।
বিবিসি জানায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের পর দুজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ডেনমার্ক। এতে দেশটির টিকা কর্মসূচির গতি কিছুটা কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার একই কারণে জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রয়োগ স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাও টিকাটির প্রয়োগ স্থগিত করেছে।
যদিও করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের (স্ট্রেইন) বিরুদ্ধে এই টিকা তুলনামূলক বেশি কার্যকর।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতার সম্পর্ক নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা (ইএমএ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সরাসরি কোনো যোগসূত্র নেই।
তবে গত সপ্তাহে ইএমএ এক ঘোষণায় বলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যার যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা অত্যন্ত নগণ্য।
ডেনমার্কে টিকা গ্রহণের পর দুজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কথা জানা গেছে। এরপর দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, টিকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশজুড়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে ২৪ লাখ ডোজ বিতরণ করা হয়েছে, সেগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যে হারে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা পরিলক্ষিত হওয়ার কথা, প্রকৃতপক্ষে তার চেয়েও বেশি হারে সমস্যাটি হবে।
যে দুজনের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধেছে, তাঁদের একজন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
ডেনমার্কের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সরেন ব্রস্ত্রম বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ পুরো স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত কঠিন ছিল। তবে ডেনমার্কের কাছে করোনার অন্য টিকাও রয়েছে। তা ছাড়া মহামারিও এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।
ডেনমার্কে প্রায় ১০ লাখ লোককে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখকে দেওয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। দেশটিতে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকাও প্রয়োগ করা হচ্ছে।