মিয়ানমারে রাতে নেতারা আটক, ভোরে রাস্তায় জনসমুদ্র
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ৭ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাতের আঁধারে অভিযান চালিয়ে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতাদের ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল শনিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে দেশটির অন্যতম বড় শহর ইয়াঙ্গুনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তবে থেমে নেই বিক্ষোভ। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভ শুরুর আগে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহতদের স্মরণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
খবরে বলা হয়েছে, রবিবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে লাখ লাখ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে মিয়ানমারের রাস্তায় রাস্তায়। গত একমাসের বিক্ষোভে এত লোক কখনো দেখা যায়নি।
যথারীতি ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আন্দোলনকারীদের। ফেসবুকে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লাসিও শহরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের কথা জানা যায়নি।
ডাউই শহরে বিক্ষোভকারীদের এক নেতা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী পাখির মতো আমাদের গুলি করছে। তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করে অন্য কিছু করার আছে? আমাদের বিদ্রোহ করতেই হবে। ইয়াঙ্গুনে কমপক্ষে তিনটি স্থানেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাতারাতি বেশ কয়েকটি এলাকায় গুলি চালিয়ে দ্রুত সরে পড়ে। তারা কিউকতাডা থেকে কমপক্ষে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে গ্রেপ্তারের কারণ জানানো হয়নি।
রাজনৈতিক বন্দি সহায়তা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত ১১০০ জনেরও বেশি মানুষকে জান্তা আটক করেছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এদিনই বলেছিল যে তারা ১৯ বছর বয়সী কেয়াল সিনের মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।
এই আন্দোলনকারীই “এভরিথিং উইল বি ওকে” লেখা একটি টি-শার্ট পরে ছিলেন। গত বুধবার তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপরই তার ছবি আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি