বাড়ল সু চির রিমান্ডের মেয়াদ, আজ আদালতে তোলা হচ্ছে না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সাং সুচিকে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত রিমান্ডে রাখা হবে। মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।
আজ সোমবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও সুচির আইনজীবী জানিয়েছেন তাকে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।
এ নিয়ে রাজধানীতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন অং সান সুচির আইনজীবী খিন মুয়াং জাওয়া। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ। তখন থেকেই রিমান্ডে আছেন সু চি। ধারণা করা হচ্ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার এই রিমান্ড কার্যকর হবে। তবে সোমবার জানা গেল নতুন তথ্য।
তিনি বলেছেন সুচির বিরুদ্ধে মামলায় পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি জমা দেয়ার জন্য আমরা এসেছিলাম এবং ডিস্ট্রিক্ট জজের সাথে আলোচনা করতে এসেছিলাম। তার মতে সুচিকে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছেনা শুনানির জন্য। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেছেন, আইন মেনে তারা অং সান সুচির সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সাক্ষাৎ তারা করতে পারেননি । তবে তিনি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আদালতে উপস্থিত দেখানো হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এ সময় একজন সাংবাদিক মামলার সুষ্ঠু বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মামলার বিচার কতটুকু সুস্থ হবে অথবা হবে না সেটা আপনারাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। কিছু এলাকায় বলপ্রয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে সামরিক জান্তা। সোমবার মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে।
ইয়াঙ্গুনে স্যুলে প্যাগোডার সামনে সেনাবাহিনীর চারটি জলবাহী কামান দেখা যায়। এই জায়গাটি বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল। সোমবারও কিছু বিক্ষোভকারী এখানে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন। এছাড়া রোববার রাত থেকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।