উত্তরাখণ্ডে নিহত বেড়ে ৫৪, এখনও নিখোঁজ দেড় শতাধিক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৩২ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভারতের উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।
গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তপোবন বিদ্যুৎপ্রকল্পের সুড়ঙ্গ থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে রেনি গ্রাম থেকে।
এনডিটিভির বরাতে জানা যায়, দুর্ঘটনার ৮ দিন পার হলেও এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। জীবিতদের উদ্ধারে ভারতের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে চামোলি থেকে ৪১ জনের, রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ৭ জনের, পৌরি গাড়োয়াল এবং তেহরি গাড়োয়াল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৪ জনকে শনাক্ত করা গেছে।
রবিবার মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধারকাজের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
ভারত সীমান্ত পুলিশের মুখপাত্র বিবেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, কাদা এবং পাথর সরানোর সময় সুড়ঙ্গ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে। একজন হলেন তেহরির বাসিন্দা অমল সিংহ এবং অপরজন হলেন অনিল। তিনি দেহরাদূনের বাসিন্দা।
জানা যায়, এখনও কমপক্ষে ৩৯ জন সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৌশল বদল করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আটকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনটিপিসি’র জেনারেল ম্যানেজার।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ধোলিগঙ্গায় জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় অনেকগুলো গ্রাম। এমনকি সেতুও ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।