মিয়ানমারের রাস্তায় ট্যাঙ্ক, ফের বন্ধ ইন্টারনেট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভ দমাতে ট্যাঙ্ক টহল দিচ্ছে রাস্তায়। বিক্ষোভকারীদের দমনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এছাড়া স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স ২৪।
গতকাল দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। অভ্যুত্থানের পর টানা নবম দিনের মতো চলা বিক্ষোভে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সারা দেশে র্যালি করে বিক্ষোভকারীরা। কাচিনের রাজধানী মিতকিনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। দেশটির অনেক ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে ঠিকমতো সেবা দেয়—সেজন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সামরিক জান্তার সরকার। কিন্তু তারপরও তাদের সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুেকন্দ্রগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হলেও তারা সেখানে প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সেনাবাহিনী ট্যাংক মোতায়েন করে।
গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম এই ধরনের সশস্ত্র যান মোতায়েন করা হলো। অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে প্রথমে চিকিত্সকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। কিন্তু এখন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী সরকারি চাকরিজীবীদের নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। রাতে গণহারে গ্রেফতারও করা হচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মত গতকাল রবিবার ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় অস্ত্রবাহী সাঁজোয়া যান চলতে দেখা গেছে। ভিক্ষু ও ইঞ্জিনিয়াররা সেখানে একটি র্যালি করেছে। এছাড়া রাজধানী নেপিদোতে মটরসাইকেল চালিয়েও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানায়, তাদেরকে রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি ছিল স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ।
নেপিদোর এক চিকিৎসক জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতের বেলাতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমি এখনো উদ্বিগ্ন যে তারা রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত বাইরে না যেতে কারফিউ জারি করেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই পুলিশ আর সৈনিকরা আমাদের গ্রেফতার করছে।
পরিস্থিতি সংকটাপন্ন উল্লেখ করে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তা কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রু এক টুইটে বলেন, এ যেন জেনারেলরা মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, গভীর রাতে অভিযান। অধিকার আদায়ে বাঁধা, ইন্টারনেট বন্ধ, ছোট কমিউনিটিতে সেনাদের তল্লাশি। এগুলি হতাশার লক্ষণ। জেনারেলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।