সরকারের মনোভাব বুঝতে
দু'দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:০৪ এএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটি ব্রিটিশ কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর হবে। ক্যাথরিনকে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ঢাকায় আসবেন। তবে তার সফরের এজেন্ডা নিয়ে কোনো বার্তা দেননি সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, আন্ডার সেক্রেটারির সফর নিয়ে উভয়পক্ষ এখনও কাজ করছে।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭-১৮ নভেম্বর ঢাকা সফর করবেন ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি। তার সফরে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক চাওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো ধারণা করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব বুঝতে ব্রিটিশ সরকার আন্ডার সেক্রেটারিকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে। তিনি ঢাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে অবধারিতভাবে আলোচনা করবেন। তবে সব ছাপিয়ে হয়তো অন্তর্বর্তী সরকারের পালস বোঝার চেষ্টা থাকবে ক্যাথরিনের। আর সেই বার্তা ব্রিটেন গিয়ে পৌঁছে দেবেন তিনি।
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারির কাজের মূল বিষয় আইপিএস। সেক্ষেত্রে আইপিএসে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাওয়ায় গুরুত্ব দেবেন ক্যাথরিন। কেননা, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আইপিএসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
আর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে আইপিএসকে বেশ গুরত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আইপিএসের বাইরে ক্যাথরিনের সফরের ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু, অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আসতে পারে।
ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, ক্যাথরিনের সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হতে পারে। সরকার যেসব সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়ে সেগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হতে পারে। আর ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি হয়তো সংস্কারে কীভাবে যুক্ত হতে পারে সেই বার্তা দিতে পারে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলমমেন্ট (এফসিও) অফিস ক্যাথরিন ওয়েস্টকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেন।
ক্যাথরিন ব্রিটিশ সরকারের হয়ে চীন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দীপপুঞ্জের দেখভাল করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে ঢাকা সফর করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটেনের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান। এক বছরের ব্যবধানে তিনি দুই দফায় ঢাকা সফর করেন।