ইউনেস্কোর প্রতিবেদন
প্রতি ৪ দিনে একজন সাংবাদিক খুন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তি হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৩৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আগের দুই বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ সময়ে গড়ে প্রতি ৪ দিনে একজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। অর্থাৎ ১৬২ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কো।
আগের দুই বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে কাজ করতে গিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে শুধুমাত্র সত্যের অন্বেষণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার কারণে।
এসব অপরাধ যাতে কখনো বিনা বিচারে না হয় তা নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আজ ২ নভেম্বর জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নির্যাতন দমন দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
দিবসটি শুরুর আগে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক জানিয়েছে, গত দুই বছরে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে- ৬১ জন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে কম প্রাণঘাতী অঞ্চল হলো উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা বেড়েছে হয়েছে ৪৪ জন। যা গত বছরে মোট সাংবাদিক হত্যার ৫৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ সময়কালে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহতদের ৮৬ শতাংশ আঞ্চলিক সাংবাদিক। ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে কর্মরত অবস্থায় ২৪ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস'র (সিপিজে) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ না করলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা, ইসরায়েল ও লেবাননে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধ কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নজিরবিহীন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বারবার গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিকদের হত্যা ও হুমকি দিয়েছে, যাদের তারা হামাসের সাথে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করেছে। তবে আল জাজিরা এই দাবি অস্বীকার করেছে এবং নিন্দা জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
দিনকাল/এসএস