মিয়ানমারে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় হাজারো বিক্ষোভকারী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মিয়ানমারে সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানাতে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমেছেন হাজারো মানুষ।
আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির হাজারো মানুষ গণবিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই বয়সে তরুণ।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা লাল রঙের পোশাক পরেছেন। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার রং লাল।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার বহন করতে দেখা গেছে। একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘ভোটারদের সম্মান কর’।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন এনএলডি বিপুল জয় পায়। জনগণের ভোটের রায়ের সেই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ব্যানারের লেখনীতে। অনেক বিক্ষোভকারী প্রতিবাদী স্যালুটের প্রতীক হিসেবে তিন আঙুল প্রদর্শন করেন। বহন করেন লাল রঙের বেলুন। এই প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়ে গাড়ি ও বাস হর্ন বাজায়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘গণতন্ত্র না আসা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা গণতন্ত্রের দাবি করেই যাব।’
বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের বিভিন্ন সড়কে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষ আপাতত এসব গণবিক্ষোভ থামাচ্ছে না। তবে বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে হয়তো তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
ইয়াঙ্গুন ছাড়াও মিয়ানমারের একাধিক শহরে আজ ছোটখাটো বিক্ষোভ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর ইয়াঙ্গুন ও রাজধানী নেপিডোয় হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেন। তাঁরা সবাই দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
গতকাল শনিবার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। তার আগে তারা টুইটার ও ফেসবুক বন্ধ করে।
গত সোমবার মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে।
অভ্যুত্থানের দিন স্টেট কাউন্সেলর সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বন্দী করা হয়। একটি পর্যবেক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩০ জন আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও অনেককে।