মিয়ানমারে এবার ইনস্টাগ্রাম-টুইটারও বন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২৭ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৭ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের পর এবার সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের টুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো দেশটির সামরিক নেতারা। এরেআগে অপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও বন্ধ করে দেশটি।
আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম প্রধান ইন্টারনেট সরবরাহকারী টেলিনর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে । তারা জানিয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুটি সাইট ব্যবহার না করার করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের আটক করার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা শুক্রবার ইয়াঙ্গনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং অং সাং সু চির পক্ষে শ্লোগান দেয়। তারা লাল রঙের রিবন পরে ছিল।
গত সোমবার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হলে সু চি এবং অন্য নেতাদের আটক করা হয়। এর আগে সেনাবাহিনী ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বা এনএলডি পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করে।
সু চি কে সোমবারের পর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তার আইনজীবী বলছেন, সোমবারের পর থেকে থেকে তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। এই আইনজীবী বলছেন তিনি সু চি এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের নিঃশর্ত মুক্তি চান ।
শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ ছাত্র-শিক্ষক জড়ো হয় দাগন ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে। তারা তিন আঙ্গুলের স্যালুট প্রদর্শন করছিল - এই স্যালুট এই এলাকার বিক্ষোভকারীরা রপ্ত করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই ধরণের সেনাবাহিনীর একনায়কতন্ত্রের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে দিতে পারি না। বিবিসি