ভারতীয় দুই কাশির সিরাপের বিষয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ১২ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভারতীয় একটি কোম্পানির উৎপাদিত দুটি কাশির সিরাপ সেবনের বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গতকাল বুধবার চিকিৎসাপণ্য বিষয়ক এ সতর্কতার কথা জানিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি। খবর এনডিটিভির।
বৈশ্বিক সংস্থাটি সুপারিশ করেছে, ভারতের নয়দাভিত্তিক কোম্পানি ম্যারিয়ন বায়োটেকের উৎপাদিত দুটি কাশির সিরাপ উজবেকিস্তানের শিশুদের জন্য যাতে ব্যবহার করা না হয়।
চিকিৎসাপণ্য বিষয়ক এক সতর্কতায় ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ম্যারিয়ন বায়োটেকের উৎপাদিত নিম্নমানে চিকিৎসাপণ্যগুলো পণ্যের গুণগত মান এবং নমুনা পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠিত মানদন্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এসব পণ্য মানহীন। উজবেকিস্তানে শনাক্ত হওয়া দুটি নিম্নমানের (বিষাক্ত) পণ্যের বিষয়ে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পণ্য দুটির বিষয়ে গত ২২ ডিসেম্বর ডব্লিউএইচওর কাছে রিপোর্ট করা হয়েছিল। সতর্কতায় আরও বলা হয়, পণ্য দুটি হলো অ্যাম্ব্রোনল সিরাপ ও ডিওকে-১ ম্যাক্স সিরাপ। দুটি সিরাপেরই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড (উত্তর প্রদেশ, ভারত)। আজ পর্যন্ত উল্লেখিত প্রস্তুতকারক এসব পণ্য নিরাপদ হওয়ার বিষয়ে এবং সেগুলোর গুণমান নিয়ে ডব্লিউএইচওকে কোনো নিশ্চয়তা প্রদান করেনি। উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ সেবনে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলে আলোচনায় আসে নয়দাভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ম্যারিয়ন বায়োটেক।
ডব্লিউএইচও জানায়, উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারের নমুনা পরীক্ষায় দুটি সিরাপেই অগ্রহণযোগ্য পরিমাণ ডাইথাইলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল দূষক হিসেবে পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতায় আরও বলা হয়, এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতেও এ দুটি পণ্যের বাজারজাতের অনুমতি থাকতে পারে। অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের বাজারেও পণ্য দুটি বিধিবহির্ভূতভাবে সরবরাহ করা হয়ে থাকতে পারে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি বলেছে, সতর্কতায় উল্লেখিত নিম্নমানের পণ্যগুলো অনিরাপদ। এসব পণ্যের ব্যবহার বিশেষ করে শিশুদের মারাত্মক অসুস্থতা কিংবা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর উজবেকিস্তান অভিযোগ করে, ম্যারিয়ন বায়োটেক কোম্পানির ওষুধ সেবনের পর ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়। গত মঙ্গলবার কোম্পানিটির সনদ বাতিল করেছে উত্তর প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ প্রশাসন দফতর।