রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসনে কর্মসূচি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫০ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশে ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক মিডিয়া নোটে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রের কার্যালয়ের বরাতে দূতবাসের পাঠানো মিডিয়া নোটে তারিখ উল্লেখ ছিল ১৩ ডিসেম্বর ২০২২।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সহযোগিতায় ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত।
এই কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের অংশ। শরণার্থী সংকটে এই বৃহত্তর সমন্বিত উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছাধীন, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা।
এই পুনর্বাসন উদ্যোগে ইউএনএইচসিআরের জমা দেওয়া সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
আরো বলা হয়, ‘বার্মার (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং আমরা চলমান সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বার্মা থেকে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বার্মা থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া জনগোষ্ঠীগুলোর জন্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছি। তাত্ক্ষণিক মৌলিক চাহিদাগুলোকে সমর্থন করার পাশাপাশি শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগের উন্নতির মাধ্যমে শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও মর্যাদাকে শক্তিশালী করে আমাদের মানবিক সহায়তা।’
আরো বলা হয়, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং এই নৃশংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অসহায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন, একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি-সংকটের মুখে শরণার্থী পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে বলেও উল্লেখ করেছে দূতাবাস।
এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শরণার্থীদের উদার আশ্রয়দাতা হিসাবে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বাসন উদ্যোগে সমর্থনের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।