তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পেলোসির বৈঠক, অব্যাহতভাবে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ৩ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। রাজধানী তাইপে’র প্রেসিডেনশিয়াল কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (০৩ আগস্ট) সকাল থেকে তাইওয়ানে ব্যস্ত সময় পার করছেন পেলোসি।
পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার পর তাইওয়ানের ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। এরপরই প্রেসিডেন্ট সাই’র সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, পেলোসিকে ‘স্পেশাল গ্র্যান্ড শউকিং ইউন মেডাল’ দিয়ে পেলোসিকে স্বাগত জানান সাই। তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ওয়াশিংটন-তাইপে সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে ভূমিকা রাখায় পেলোসিকে সম্মানসূচক এই পদক দেয়া হয়। তার দেশের প্রতি এমন ‘অবিচল সমর্থন’ দেয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। তিনি পেলোসিকে দ্বীপটির সবথেকে নিবেদিত বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
পেলোসি তাইওয়ানকে আশ্বস্ত করে বলেন, ওয়াশিংটন অব্যাহতভাবে তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়ে যাবে। ১৯৭৯ সালে ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ পাস হয় তখনই যুক্তরাষ্ট্র কঠিন প্রতিশ্রুতি করেছে যে, তারা সবসময় তাইওয়ানের পাশে থাকবে। ওই আইন অনুযায়ী ওয়াশিংটন তাইওয়ানকে সাহায্য করতে বাধ্য।
পেলোসি বলেন, আজ আমরা তাইওয়ান এসেছি শুধু এটি স্পষ্ট করতেই যে, তাইওয়ানের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা থেকে আমরা সরে আসিনি এই বন্ধুত্ব নিয়ে আমরা গর্বিত। যে কোনো সময়ের থেকে তাইওয়ানের পাশে থাকা এখন বেশি জরুরি। আর সেই বার্তা দিতেই আমরা এখানে এসেছি।
এর জবাবে পেলোসিকে সাই বলেন, এই কঠিন সময়ে তাইওয়ানের প্রতি এমন জোরালো সমর্থন দেখানোয় আপনাকে ধন্যবাদ। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির জন্যেও ধন্যবাদ দেন তিনি।
নিজের কার্যালয় থেকে এক ঘোষনায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে তাইওয়ানের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এই দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তাকে ওলট পালট করে দেবে।
তিনি বলেন, তাইওয়ান একের পর এক সামরিক হুমকির মুখে রয়েছে। কিন্তু আমরা পিছু হটবো না। আমরা আমাদের দেশের স্বার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখবো এবং গণতন্ত্র রক্ষায় প্রতিরোধ চালিয়ে যাব। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছা রাখি।
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার জন্য যা যা করা দরকার তাই করবে। ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সরবরাহ চেইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে তাইওয়ান।