রাশিয়ার হুমকির মুখে ন্যাটো সেনা মোতায়ন চায় লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুনিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২২ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাশিয়ার হুমকির মুখে নিজেদের দেশে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের আহবান জানিয়েছে লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুনিয়া। এ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলোচনা করেন দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা। এই আলোচনা থেকেই সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতি সেনা মোতায়েনের আবেদন জানানো হয়। তবে ন্যাটো এই আবেদনে সাড়া দেবে কিনা তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে।
খবরে জানানো হয়েছে, পূর্ব ইউরোপে উত্তেজনা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেলো বাল্টিক অঞ্চলের ওই তিন দেশের আশঙ্কা থেকে। জার্মানি ও ফ্রান্স দুই দেশই রাশিয়াকে আগ্রাসন না চালানোর আহবান জানিয়েছে। তারা আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জার্মানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যথায় রাশিয়া সামান্য আগ্রাসন দেখালেও তাদের কঠিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে জার্মানি। কিন্তু এতেও আশঙ্কামুক্ত হয়নি বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলো। তাই তারা সরাসরি ন্যাটোর সাহায্য কামনা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘ বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন লাটভিয়া, এস্টোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা। লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিসহানিস কারিন্স চ্যান্সেলর শলৎসকে জানান, তারা চাইছেন তাদের রাষ্ট্রে ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন করা হোক। যেভাবে পূর্ব ইউরোপের প্রান্তে ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়া সেনা সাজিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই লাটভিয়ার এই আবেদন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে কারিন্স জানিয়েছেন, সরাসরি যুদ্ধের হুমকি আছে বলে তারা এখনো মনে করছেন না।
শুধু লাটভিয়া নয়, বাকি দুইটি দেশও এই অভিমত সমর্থন করেছে। এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাস স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন করছেন। রাশিয়া বন্দুকের নলের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। তার বক্তব্য, ইউক্রেনকে হারিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনোরকম সমঝোতায় রাজি নয় এস্টোনিয়া। এবং সে কারণেই ন্যাটোর ফোর্সকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। অন্যদিকে ডেনমার্কও জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন সেনাকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটো বাহিনী নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
শান্তি আলোচনা শুরু হলেও পূর্ব ইউরোপ জুড়ে সেনার সংখ্যা আরো বাড়িছে ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানিও একাধিক দেশে নতুন করে সেনা পাঠিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, রাশিয়াকে একটি কথা বুঝে নিতে হবে। গোটা ইউরোপ একসঙ্গে আছে। রাশিয়া আগ্রাসন দেখালে গোটা ইউরোপ তার বিরোধিতা করবে। যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই তাই সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে হবে।
গত কিছুদিনে আলোচনার পরিবেশ কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্রান্স এবং জার্মানির উদ্যোগে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা সম্ভব হয়েছে এবং তাতে উত্তাপ খানিকটা কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাশিয়াও এখনো পর্যন্ত সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি।