বিক্ষোভ দমনে রাশিয়ার সমর্থন চাইলেন কাজাখ প্রেসিডেন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩১ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নিজের দেশের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামাতে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। এর প্রেক্ষিতে কাজাখস্তানে ‘স্থিতিশীলতা’ রক্ষায় রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এলপিজির দাম বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশটি। সারাদেশে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিছুতেই উত্তেজিত জনতাকে দমাতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। তাই তিনি কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) সহায়তা চেয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, তার দেশের অস্থিরতাকে বিদেশে প্রশিক্ষিত ‘সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের’ কাজ বলে মন্তব্য করেছেন কাজাখ প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে ভিন্ন কথা বলছেন লন্ডনের পররাষ্ট্র বিষয়ক থিংকট্যাংক চ্যাথাম হাউজের মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কেট ম্যালিনসন।
তিনি বলেছেন, এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ গভীর থেকে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে জনতা। এর কারণ, কাজাখ সরকার তার দেশকে আধুনিকায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দেশে সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সব শ্রেণির মানুষের ওপর।
এরই মধ্যে সরকার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। রাতের বেলা কারফিউ দেয়া হয়েছে। গণসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিনের একেবারে শুরুতে টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ। এতে তিনি রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সিএসটিও’র সহায়তা চেয়েছেন। উল্লেখ্য, সিএসটিও হলো রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত ৫টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত সামরিক জোট।
ওদিকে বুধবার দিনের শেষে সিএসটিওর চেয়ারম্যান আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন যে, একটি সীমিত সময়ের জন্য সিএসটিও কাজাখস্তানে শান্তিরক্ষী পাঠাবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্তৃপক্ষ এবং বিক্ষোভকারীদের বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে কাজাখস্তান। তারপর থেকে মাত্র দু’জন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে দেশটি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়। ২০১৯ সালে সর্বশেষ তিনি নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়েছিল অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ। বলা হয়, নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মানদ- মানা হয়নি। প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন নুর সুলতান নাজারবায়েভ। রাস্তায় বিক্ষোভ হলেও তিনি এখনও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় শক্তিধর অবস্থানে আছেন।