মিয়ানমারে মার্কিন সাংবাদিকের ১১ বছরের কারাদন্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৩০ এএম, ১৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৭ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মিয়ানমারে আটক হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এক সাংবাদিককে ১১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন জান্তা-শাসিত এই দেশটির একটি আদালত। কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই মার্কিন সাংবাদিকের নাম ড্যানি ফেন্সটার।
আজ শুক্রবার (১২ নভেম্বর) তার বিরুদ্ধে কারাদন্ডের এই রায় ঘোষণা করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেন্সটারের কারাদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী। ৩৭ বছর বয়সী ড্যানির বিরুদ্ধে বেআইনি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়।
ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার নামে একটি অনলাইন ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন ড্যানি ফেন্সটার। তাকে দেয়া কারাদন্ডকে ‘আইনের অধীনে যতটা সম্ভব কঠোর’ বলে আখ্যায়িত করেছে ম্যাগাজিনটি।
এর আগে গত মে মাসে মিয়ানমার ছাড়ার সময় ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দর থেকে ড্যানি ফেন্সটারকে আটক করে দেশটির সামরিক সরকার। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
এদিকে ফেন্সটারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের এডিটির-ইন-চিফ থমাস কিন জানিয়েছেন, ‘যেসব অভিযোগে ড্যানিকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। কারাদন্ডের এই রায়ে ফ্রন্টিয়ারের সবাই খুবই হতাশ। আমরা তার দ্রুত মুক্তি চাই, যেন তিনি পরিবারের কাছে যেতে পারেন।’
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। রক্তপাতহীন এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং। অং সান সু চি ও তার দল এনএলডির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী বর্তমানে গৃহবন্দি বা কারাবন্দি অবস্থায় আছেন।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী মানুষের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরাও দমন-পীড়ন, হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতা দখলের পর এপ্রিল মাসে জাপানের এক সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এর আগে মার্চ মাসে বিবিসির এক সাংবাদিককে স্বল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়। তার আগে পোল্যান্ডের এক ফটোসাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। তবে মার্চে অবশ্য তাকে মুক্তি দেয়া হয়।