কয়লা ছাড়তে অঙ্গীকার ১৯০ দেশ ও সংস্থার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৫৪ পিএম, ৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পোল্যান্ড, ভিয়েতমান ও চিলিরসহ ১৯০টি দেশ ও সংস্থা জ্বালানি হিসেবে কয়লাকে বাদ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) এ প্রতিশ্রুতি এসেছে দিয়েছে ওইসব দেশ ও সংস্থাগুলো বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাজ্য সরকারকে উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম একথা জানায়।
চীন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। তাদের পরেই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া কার্বণ নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে উপরের দিকেই রয়েছে। এবারের সম্মেলনে এ দেশগুলির কেউই কয়লা বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে সই করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমঝোতায় সই করা দেশ ও সংস্থাগুলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য জানায়, ২০৪০ সালের মধ্যে দরিদ্র দেশগুলো জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও জ্বালানিমন্ত্রী কোয়াসি কোয়াটেং বলেন, `কয়লার শেষ সময় এসে গেছে। বিশ্ব সঠিক দিকে যাচ্ছে। দূষণমুক্ত শক্তি চালিত একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সুবিধাকে বরণ করতে বিশ্ব প্রস্তত হয়েছে।’
যুক্তরাজ্য জানায়, ৪০টিরও বেশি দেশ এই বিবৃতিতে সই করেছে। পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চিলিসহ ১৮টি দেশ ধাপে ধাপে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে এবং নতুন কয়লাভিত্তিক প্রকল্প তৈরি না করতে প্রথমবারের মতো সম্মত হয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিরোধী লেবার দলীয় এমপি এড মিলিব্যান্ড বলেন, চীন ও ভারতের মতো অন্য প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো কয়লার ব্যবহার বাড়ানো বন্ধ করার কোনো প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় এখানে ‘একটি ফাঁক‘ রয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি ধাপে ধাপে বন্ধ করার কোনো আশ্বাস ওই সমঝোতায় নেই। বরং যুক্তরাজ্য সরকার ‘অন্যদের সমস্যায় পড়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’
বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যুতের জন্য অনেক দেশই এখানো কয়লার ওপর নির্ভরশীল।
বিপি স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ এসেছে কয়লা থেকে। প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, ১৬ শতাংশ নদীর বাঁধগুলো থেকে পাওয়া জল বিদ্যুৎ থেকে, ১০ শতাংশ পারমাণবিক ও ১২ শতাংশ সৌর ও বায়ুর মতো নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে।’
সূত্র: বিবিসি।