সরকার গঠনে তালেবানকে সহায়তা করবে ইসলামাবাদ: পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আফগানিস্তানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে তালেবানকে পাকিস্তান সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে এ কথা বলেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের।
এই মুহূর্তে ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে পৌঁছান তিনি। পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম অবজারভারের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে সহায়তার পাশাপাশি দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পাকিস্তান কাজ করবে বলে ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এমন সময় এ মন্তব্য করলেন, যখন আফগানিস্তানে দ্রুতই নতুন সরকার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে তালবান। এসবের মধ্যেই গতকাল শনিবার পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদ দেশটিতে সফরে যান। পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই তালেবানকে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘খুবই শক্তিশালী’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই দেশেরই আগ্রহ রয়েছে। তবে আমরা তালেবানকে তাদের কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন করব, মুখের কথায় নয়।’
আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসা তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ডমিনিক রাব। তবে শিগগিরই যুক্তরাজ্য তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটবে না বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আফগানিস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুক্রবারই আফগানিস্তানে নতুন সরকার ঘোষণার কথা ছিল তালেবানের। তবে তা পেছানো হয়েছে। এ নিয়ে তালেবানের হাতে রাজধানী কাবুলের পতনের পর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন পেছানো হলো।