৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে আইএমএফ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৩৭ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রেস বিবৃতিতে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ এ কথা জানিয়েছেন। আন্তোয়েনেট এম. সায়েহ ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে পাঁচ দিনের সফরে রোববার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
আন্তোয়েনেট বলেন, ‘গত দশকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। যা দারিদ্র্য নিরসনে ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং জীবনমানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে স্থিতিশীল রাখতে, ঋণ থেকে জিডিপি অনুপাত কম এবং বাহ্যিক বাফারগুলোকে পর্যাপ্ত রাখতে সাহায্য করেছে।’
সারা বিশ্বের দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ধাক্কাগুলোর প্রভাব মোকাবেলা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি এই কঠিন সময়ে দুর্বলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর তাদের ফোকাসসহ এসব সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া বিস্তৃত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।’
কর্তৃপক্ষের স্বদেশী সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ ও আইএমএফ সম্প্রতি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফের নতুন স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই সুবিধার (আরএসএফ) অধীনে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের আলোচনায় আমরা কর রাজস্ব বাড়ানো এবং আরো দক্ষ আর্থিক খাত গড়ে তোলার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জসহ এই প্রোগ্রামের মূল উপাদানগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি।’
বেসরকারি বিনিয়োগ এবং রফতানি বহুমুখীকরণের সুবিধার্থে পদক্ষেপের সাথে এসব ক্ষেত্রে সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো স্থিতিস্থাপক করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার শর্ত তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছি। যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।’