আগামী বাজেটে কমতে পারে করপোরেট কর হার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ এএম, ১২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪৭ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট করের হার কমানোর কথা ভাবছে সরকার। করপোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজেট সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, করপোরেট করের হার লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এনবিআরের বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে। বর্তমানে কর হার যথাক্রমে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ এবং লিস্টেড কোম্পানির জন্য তা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। চলতি বছর এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ (ডিসিসিআই) ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো করপোরেট কর হার আবারও কমানোর প্রস্তাবনা দেয়। ডিসিসিআই তাদের বাজেট প্রস্তাবনায় করপোরেট করের হার লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেয় । যেটি বর্তমানে রয়েছে যথাক্রমে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ। এছাড়াও করপোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের ওপর বিদ্যমান ২০ শতাংশ করের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের আহ্বান জানায় ডিসিসিআই। আগামী ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করবেন। এটি হবে অর্থমন্ত্রীর টানা চতুর্থ এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫২তম বাজেট। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এর মধ্যে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার বা মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।