চট্টগ্রাম বন্দরে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি, অনুসন্ধান টিম পুনর্গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২০ এএম, ১৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা মালামাল খালাসে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করবে। এর আগে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হলেও তাকে বদলি করায় নতুন টিম গঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ অনুসন্ধানে এর আগে গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর কাস্টমস বিভাগের ১৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। যাদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন নাহার জনি, মির্জা সাইদ হাসান ফরমান, মো. মাহমুদুল হাসান মুন্সী, মো. মাহবুবার রহমান, মো. ওমর ফারুক, মো. সাইফুল ইসলাম, মাহমুদা আক্তার লিপি ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে ৭ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া কাস্টমস কর্মকর্তা মো. জিন্নাতুল ফেরদৌস, মো. হাবিবুল ইসলাম, মো. খায়রুল আলম, এটিএম মেহেদী হাসান, ইন্দ্রজিৎ মুখার্জি, এএসএম মোশাররফ হোসেন ও মো. সোহরাব আলীকে ৮ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, শুল্ক ফাঁকির কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে দুদক অবশ্যই তদন্ত করবে। একইসঙ্গে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেবে। যেকোনো দুর্নীতির ক্ষেত্রেই দুদক ব্যবস্থা নেবে। আমরা চেষ্টা করছি, আপনারা দেখছেন। আপনারাও তথ্য দেন সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বদলি করা দুই কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করে সাত জন সিঅ্যান্ডএফের সহযোগিতায় বন্দর থেকে আমদানি করা মালামাল খালাস করে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।