ট্রাকচালকদের কর্মবিরতি, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের। তাদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা এ কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ১৫ দফা দাবিতে আমাদের দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। কর্মবিরতিতে সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি প্রবেশ করছে না। বন্দর থেকেও পণ্য নিয়ে গাড়ি বের হচ্ছে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে তা চলবে।
তিনি বলেন, আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি সেখানে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসবে। তবে, বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ আছে। কিন্তু বন্দরের অভ্যন্তরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামাসহ বাকি সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পণ্য পরিবহনের কর্মবিরতির কারণে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ আছে। ডিপোতে কনটেইনার যাওয়া ও ডিপো থেকে রফতানির কনটেইনার আসা বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে ছোট ছোট কাজ চলছে।
বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে; পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে; যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন তাদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি-র বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে; চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে; প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; সারাদেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্যপরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে; লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।
গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।