করোনার ভারতীয় স্ট্রেইন এসেছে কি না জিনোম সিকোয়েন্সের পরে বলা যাবে - স্বাস্থ্য অধিদফতর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৯ এএম, ৪ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিধ্বংসী মহামারিতে রূপ নেয়া কোভিড-১৯-এর ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে এসেছে কি না তা আরও কিছু দিন পরে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।
আজ সোমবার দুপুরে ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯-এর ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে এসেছে কি না এটি হয়তো আমরা আরও কিছু দিন পরে বলতে পারবো। কারণ অনেকেই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। যাদের পজিটিভ পাচ্ছি তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের (সম্পূর্ণ জিন-নকশা) জন্য পাঠানো হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্সের একটু সময় লাগে। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন এবং দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন, তারা যদি অক্সফোর্ডের টিকা না পান সে ক্ষেত্রে কী করবেন সে বিষয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো আমাদের নির্দিষ্ট করে কোনো পরামর্শ দেননি। প্রথম টিকা যে কোম্পানির নেয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজও সেই কোম্পানির নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১২ সপ্তাহ অপেক্ষা করবো। ভ্যাকসিন নিয়ে সারা বিশ্বে এক ধরনের ডিপ্লোম্যাসি আছে, এক ধরনের রাজনীতি আছে। তারপরও মানবতার চূড়ান্ত জয়গান সেটি যেন হয়। আমরা এ পর্যন্ত দেখেছি, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। যে কারণে আস্থা রাখতে চাই, আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। তাহলে আমরা দ্বিতীয় ডোজটিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে শেষ করতে পারবো। টিকার মজুদ আমাদের খুব বেশি নেই। আমরা যে পরিমাণ টিকা সংগ্রহ করেছিলাম, তা একেবারেই শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে। গতকাল পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০৯ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি চলমান আছে সেটির জন্য নিবন্ধন করেছেন ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৪১ জন। আমরা আশা করছি, এ মাসেই চীনের ভ্যাকসিন আসবে। টিকা আসতে দেরি হোক বা যা-ই হোক না কেন, যতক্ষণ টিকা হাতে না আসছে মাস্ক হলো আমাদের সবচেয়ে বড় টিকা। এটি সহজলভ্য, আমরা সবাই নিয়ম মেনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেটি ব্যবহার করি, বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র।