ভারতের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশকে টিকা দেবে সেরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ৪ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১১ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে আসতে পারে বলে জানিয়েছিল সরকার। তবে ভারতের যে প্রতিষ্ঠান থেকে এই টিকা কেনা হচ্ছে, তারা বলেছে, আগামী দুই মাসে তারা আগে স্থানীয় চাহিদা মেটাবে। এরপরই আগ্রহী দেশগুলোয় টিকা রপ্তানি করা হবে। গতকাল রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অর্থাৎ মার্চের আগে বাংলাদেশে টিকা আসার সম্ভাবনা কমে গেল।
ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যে চুক্তি আছে সে অনুযায়ীই টিকা পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চুক্তি আছে। আমরা সে অনুযায়ী টিকা পাবো। চুক্তি হলে টিকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে; তারা বলেছেন- আপনারা চুক্তি অনুযায়ী টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে। তারা বলেছে, আশাহত হবেন না। আমরা আশাবাদী।
মন্ত্রী জানান, টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ আছে তা হয়ে গেছে। অনুমোদনও হয়ে গেছে। সব চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী অর্ধেক টাকা পাঠাতে হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতে তৈরি করছে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট। গত ১৩ ডিসেম্বর ওই টিকা কেনার জন্য সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।