বাংলাদেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস শনাক্ত

দেশে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের একটি স্ট্রেইন শনাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা। যার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের মিল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে ৫টিতে নতুন ধরনের এই করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইন শনাক্ত করেন।  বিসিএসআইআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন যে একটি স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, সেটি আগের স্ট্রেইনটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়াতে পারে। 

ড. সেলিম খান বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সবশেষ যে সিকোয়েন্স করা হযেছে তাতে ভাইরাসটির দুটি স্পাইকে প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ভাইরাসটির স্ট্রেইনে যে বৈশিষ্ট্য আছে, তার সাথে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসটির পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল রয়েছে।’ বাংলাদেশের আগে এমন মিউটেশনের খবর রাশিয়া ও পেরুতে পাওয়া যায়। ওই দেশগুলোতে একটি করে নমুনায় এমন মিউটেশন পাওয়া গিয়েছিল বলেও বিসিএসআইআর সূত্র জানায়।

বাংলাদেশে মোট ১৭টি নমুনার মধ্যে ৫টিতেই এমন মিউটেশনস পাওয়া গেছে জানিয়ে ড. সেলিম খান বলেন, ‘আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে ওই নমুনাগুলো জেনোম সিকোয়েন্সের জন্য নিয়েছিল তারা।’

তিনি বলেন, ‘তবে তারা কাদের কাছ থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করেছিল তা শনাক্ত করতে নমুনা তথ্য এরইমধ্যে ওই সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’ গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এর মধ্যে গত ৫ নভেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর মোট আক্রান্ত ৫ লাখ ছাড়ায়। একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে ৩০ জুন। এখনও প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসে।