রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ এএম, ৩ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৯ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৭৯ জনই রাজধানীর।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৯৭৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৪০ ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২০০ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে ৪টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও এখনও কোনো মৃত্যুই ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর।
ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ বিশেজ্ঞদের।
প্রতি বছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।
দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ :
১। প্রচন্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় :
১। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা, যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।