অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ নেয়া ৯৩ শতাংশের শরীরে এন্টিবডি : গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ এএম, ২৮ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া ৯৩ শতাংশের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি গবেষক টিম। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া ঢামেকের ৩০৮ জন ডাক্তার ও কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে দীর্ঘ ৫ মাস গবেষণার পর এমন ফলাফল উঠে এসেছে বলে জানান তারা।
আজ রবিবার গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন অধ্যাপক ডা. সামসুজ্জামান।
গবেষণা টিম জানিয়েছে, সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ১ম ও ২য় ডোজের পর এন্টিবডি রেসপন্সের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। ওই গবেষণাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে সম্পন্ন হয়। ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এক দল গবেষক এই গবেষণাটি সম্পন্ন করেন। ওই গবেষণায় ঢামেকের ডাক্তার ও কর্মচারী থেকে ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই গবেষণার সময়কাল ছিল ৫ মাস। ১ম ভ্যাকসিন দেয়ার ৪ সপ্তাহ পর নমুনা (রক্ত) সংগ্রহ করা হয় এবং ৪১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে এন্টিবডি পাওয়া যায়। ২য় ভ্যাকসিন দেয়ার ২ সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৯৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে এন্টিবডি উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ওই গবেষণায় অর্থায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. মো. টিটো মিয়া এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী গবেষণায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।
তিনি বলেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সবার বয়স ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশের বয়সই ৫০ বছরের বেশি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার পর এন্টিবডি তৈরি হলো কি হলো না দেখা। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর কি পরিমাণ এন্টিবডি তৈরি হলো। এন্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা শরীরের কতদিন থাকবে এ প্রশ্নে তিনি জানান, এন্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে কতদিন তা নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে কোনো তথ্য নাই। এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, উপাধ্যক্ষ ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এই গবেষণার ফলাফল পুরো সমাজের চিত্র কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জবাবে অধ্যক্ষ ডা. মো. টিটু মিয়া বলেন, এটা পুরো দেশের চিত্র বহন করে না। কারণ এই গবেষণা করা হয়েছে একটি বিশেষ শ্রেণির ওপর। তবে ৩০৮ জনের এই স্যাম্পল সাইজ কিন্তু একেবারে কম না। এটা থেকে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেতে পারি। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হলে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করা প্রয়োজন আছে।