জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়- ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ পিএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চাঁন্দগাও ওয়ার্ডে অবস্থিত কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই এলাকা হচ্ছে বিএনপির দূর্ভেদ্য ঘাঁটি। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। এই স্থানের গুরুত্ব দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। স্বাধীন বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একে অপরের পরিপুরক। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের কোন অবদান নাই তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখছে। ভোট ডাকাতির মতো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ডাকাতি করেছে সরকার। তিনি গতকাল বিকালে নগরীর ৪ নং চাঁন্দগাও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাটস্থ ফরিদের পাড়া এলাকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর ৭ম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়া ছিলেন রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতাত্তোর তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়া বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে মেজর জিয়া নামেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকবেন।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের দল। শহীদ জিয়া চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সে ঘোষণায় মুক্তিকামী জনতা উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে বীর জাতি অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সে স্বপ্ন আজ ভূলুণ্ঠিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল আজিজ, মো. এসকান্দার, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দীন ভূইয়া, আবুল বশর, নগর মহিলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর যুবদলের সহসভাপতি নাছির উদ্দীন চৌধুরী নাছিম, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, নগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহ্বায়ক গুলজার হোসেন, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, বিএনপি নেতা আলী আজম মাসুম, মো. জসিম উদ্দীন, হাজী কামাল উদ্দীন, ইলিয়াছ আলী, আবু বক্কর, নুর নবী, মো. আলমগীর, মো. ওসমান, ইকবাল চৌধুরী, জানে আলম, নুহ গাজী সেলিম প্রমুখ।