না’গঞ্জের ফতুল্লায় কিশোর সন্ত্রাসী ইভনকে গণধোলাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫ এএম, ২৭ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে বাবা-ছেলেসহ ৩জনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে কিশোর সন্ত্রাসী ইভনকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে সহযোগীরা ইভনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অপর একটি সূত্র মতে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইভন ও রুবেল বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। যে কোন সময় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।
কিশোর সন্ত্রাসী ইভন ইসদাইর এলাকার আজম বাবু ওরফে জামাই বাবুর ছেলে। ইভনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় আলোচিত ফুটবলার রাসেল হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
হোসেন আলী জানান, ইভন কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে একজন কিশোরকে মারধর করছে। তখন তার বাবা গনি মোল্লা প্রতিবাদ করেন এবং কিশোরকে ছেড়ে দিতে ইভনকে অনুরোধ করেন। তখন ইভন ওই কিশোরকে ছেড়ে দিয়ে গনি মোল্লাকে মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এসময় গনি মোল্লার ছোট ছেলে তার ছোট ভাই হানিফ ও বন্ধু রুবেল এগিয়ে এসে ইভনকে থামতে বলেন। এতে ইভন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হানিফ ও রুবেলকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে রুবেলের বাম পায়ে ছুরিকাঘাত করে এবং ঘুষি দিয়ে তিনটি দাঁত ফেলে দেয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ইভন ও তার এক সহযোগিকে গণধোলাই দেয়। তখন খবর পেয়ে ইভনের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র হাতে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে। তখন এলাকাবাসী দুরে চলে গেলে ইভন ও তার সহযোগিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। আহত রুবেলকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইভন গ্রুপ ও রুবেল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইভন, রুবেলসহ উভয় গ্রুপের একাধিক সদস্য আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে ইভন। এলাকায় কেউ ব্যবসা বানিজ্যও করতে পারে না তার জন্য। থানায় অভিযোগ করেও কোন সুফল পায় না ভুক্তভোগিরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কেউ থানায় এখনো অভিযোগ করেনি। তারপরও খোঁজ খবর নেয়া হবে।