ইয়াস'র প্রভাবে বরিশালের বিভিন্ন জেলায় পানিবৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৩ পিএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র প্রভাবে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও মাঝে মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার রাস্তা ঘাট ও বেড়িবাঁধ প্লাবিত হয়ে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বরিশাল থেকে দুরপাল্লার যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। বরিশাল লঞ্চঘাটে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা অন্য জেলার যাত্রীদের ছাউনিতে অবস্থান করতে হয়েছে। বিপাকে পড়া এসব যাত্রী লঞ্চ চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েছে।
বরিশালের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিবি)'র সাড়ে ৩৩ হাজার সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। পূর্নিমার জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস এর কারনে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পানি ১৩-১৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরগুনার উপকূলীয় এলাকার ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে আছে। ফলে ঐ এলাকার স্থানীয় লোকজন আতংকে সময় কাটাচ্ছে। বিষখালী নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ হুমকির মধ্যে আছে। পাথরঘাটার ইউএনও সাবনা সুলতানা জানান, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসন প্রকল্পে পানি ঢুকে যাওয়ায় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভোলার মনপুরার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সংযোগ সড়ক ও বেড়িবাঁধ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মনরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার ও নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছন। জেলায় ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র,৭৬ টি মেডিকেল টীম,৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে। গাছ পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে ভোলায়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ দিয়ে ৩থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবেশ করছে। রাঙাবালি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর পানি ভিতরে প্রবেশ করেছে। জেলায় ৪টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ,৫৯টি সাইক্লোন সেন্টার ও প্রায় ৫শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত ঘূর্ণিঝড় ইয়াস'র জন্য। বৈরী আবহাওয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি রাস্তা ও বেড়ীবাধে ঢুকে পড়েছে। বিষখালী ও সুগন্ধা নদীতে মালবাহী জাহাজ ও নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।