পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ৭০০ মিটার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৫ এএম, ২২ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বসলো পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর ৫ হাজার ৭০০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ১ এবং ২ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৮তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। দুই খুঁটির একটি মাওয়া প্রান্তের তীর সংলগ্ন ডাঙায় ও অন্যটি পদ্মার পানিতে বসানো হয়েছে। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, ৩৮তম স্প্যান বসানোর পর আর বাকি রইলো আর ৩টি স্প্যান। সেগুলো মাওয়া প্রান্তের খুঁটিগুলোতে বসবে।
তিনি জানান, চলতি মাসের ২৭ অথবা ২৮ তারিখে দিকে খুঁটির ওপর বসতে পারে ৩৯তম স্প্যান। বিজয়ের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হবে খুঁটির ওপর।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর পর ওপর দিয়ে সড়কপথ আর নিচের অংশে রেলপথ নির্মাণের কাজ বাকি থাকবে, যা এরই মধ্যে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে সব মিলিয়ে ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি খুঁটি থাকবে পানিতে আর ২টি ডাঙায়। ডাঙায় থাকা দু’টি খুঁটি সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সেতুকে যুক্ত করবে। ৬টি মডিউলে বিভক্ত থাকবে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট বা ঝুলন্ত পথ ও জাজিরা প্রান্তে থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মা সেতুর পুরোটাই নির্মিত হবে স্টিল ও কংক্রিট স্ট্রাকচারে। সেতুর ওপরে থাকবে কংক্রিটিং ঢালাইয়ের চার লেনের মহাসড়ক, আর তার নিচ দিয়ে যাবে রেললাইন।