প্রবাসী নারীর আর্থিক সহায়তায় রংপুর মেডিকেলে কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন পুনরায় চালু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৯ পিএম, ২৪ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রবাসী এক নারীর আর্থিক সহায়াতায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর পুনুরায় চালু হলো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন। গত শনিবার থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সেই নারী বিভিন্ন গনমাধ্যমে ডায়লাইসিস মেশিনবন্ধ থাকার খবর জানার পর তার নিজেস্ব আর্থিক সহায়তায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (পানি শোধনাগার) দুটি মেরামত করার উদ্যেগ নেন। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট অকেজো হওয়ায় গত ৮ই এপ্রিল থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কিডনি ডায়ালাইসিস কার্যক্রম। ফলে রংপুর বিভাগের আট জেলার কিডনি রোগীরা চরম দুর্ভোগ পড়েন।
হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান মোবাশ্বের হোসেন জানান, ২৬টি ডায়ালাইসিস যন্ত্রের মধ্যে সার্বক্ষণিক ১২ থেকেে ১৪টি যন্ত্র চালু থাকে। তবে দুটি পানি শোধনাগার মেশিনের একটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। অপরটিও গত দেড়মাস আগে পুরোপরি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে হাসপাতাল পরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে অবগতির পরও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দা আফরোজা বিউটি নামে এক নারী তাঁর স্বজন এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে নিজ উদ্যোগে এবং নিজস্ব আর্থ সহায়তা দিয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (পানি শোধনাগার) দুটি মেরামত করে দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নেফ্রোলজি বিভাগের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে ২৬টি ডায়ালাইসিস যন্ত্রের মধ্যে বর্তমানে ১৮টি যন্ত্র চালু রয়েছে। বাকি ছয়টি যন্ত্র অনেক আগে থেকেই বিকল হয়ে রয়েছে। চালু ১৮টি যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীদের কিডনি ডায়ালাইসিস করতে দুটি পানি শোধনাগার দিয়ে বিশেষ পানি ব্যবহার করা হয়। এই পানি সরবরাহের মাধ্যমে ডায়ালাইসিস যন্ত্রগুলো চালু থাকে। কিন্তু পানি শোধনাগার যন্ত্র দুটি একই সঙ্গে বিকল হওয়ায় ৮ই এপ্রিল থেকে ডায়ালাইসিস যন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় কিডনি ডাইলোসিস কার্যক্রম। প্রতিদিন প্রতিটি যন্ত্রে দুই থেকে তিনজন কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস হয়ে থাকে। এ ইউনিটে গড়ে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ রোগীর প্রতিদিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করা হয়। একজন রোগীর সপ্তাহে দুই দিন করেও ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন হয়। যন্ত্রগুলো বন্ধ হওয়ায় নিয়মিত রোগীরা চরম বিপাকে পড়েন। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু জানান, ডায়ালাইসিস কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি তাঁর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক নিকটাত্মীয়কে জানায়। তিনি মানবিক কারণে মেশিনগুলো মেরামতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করেন। ফলে গত শনিবার থেকে পুরোপুরি ডায়ালাইসিস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।