বগুড়ায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে ৪ ঘন্টাব্যাপী রণক্ষেত্রঃ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের টিয়ারসেল আহত-১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ এএম, ২০ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
বগুড়া সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলার রেলগেট দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পীর উপস্থিতিতে মিনহাদুজ্জামান লীটন ও জাকির হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । মিনহাদুজ্জামান লীটন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের সভাপতি আর জাকির হোসেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সংঘর্ষ চলাকালীর সাংসদ সাহাদারা মান্নান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সোনাতলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পী (বগুড়া-১)। সভা চলার সময় হঠাৎ করে দু’ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে চার রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন বলেন, ‘ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচন সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ সাহাদারা মান্নান শিল্পীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিত থাকতে বলা হয়।
তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আগে শুনতে পারি ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন তার বাহিনী নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অবস্থান নিয়েছেন। আমি তাদের কাছে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে নিষেধ করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।’
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অফিসে বসে ফুটবল খেলা দেখতেছিলাম। এমন সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।’
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, আসলে কী নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তা জানা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।