আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৬ পিএম, ১৩ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যশোরের কেশবপুরে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সরকারি মানবিক সহায়তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ছাত্রলীগ নেতা জি এম সোহান (২৫) মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছাত্রলীগ নেতা জি এম সোহান কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। তার চাচা আবুল কালাম আজাদ কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও গত পৌর নির্বাচনে পৌরসভার বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
উল্লেখ, গত ৭ই মে বেলা ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা সাইক্লোন সেল্টারে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে ৪৫০টাকা করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার সময় কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৯ নম্বর বালিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল এবং পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। এরমধ্য সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদের ভাইপো ছাত্রলীগ নেতা জি এম সোহান মারাত্মক আহত হলে প্রথমে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনা উল্লেখ করে সোহানের চাচা আবুল কালাম আজাদ কেশবপুর থানায় মামলা করেছেন। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সোহানের চাচা বাদী হয়ে কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী বিপুল সহ সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।