মিতু হত্যায় বাবুলের তিন লাখ টাকার কিলিং মিশন, বাবুলকে প্রধান আসামি করে শ্বশুরের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১২ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৭ এএম, ৪ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পাঁচ বছর আগে যে বাবুল আক্তার বাদি হিসেবে স্ত্রী হত্যায় মামলা দায়ের করেছিলেন একই ঘটনায় এবার তাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে একটায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি বাবুল ছাড়াও আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরকীয়ার জেরে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করতে ভাড়াটে খুনিদের তিন লাখ টাকায় কিংলিং মিশনের চুক্তি করেন তারই স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এ কিলিং মিশনে নেতৃত্ব দেন তারই ঘনিষ্ট সোর্স মুছা। আর চুক্তির তিন লাখ টাকা বাবুলের নিকটাত্মীয় সাইফুলের মাধ্যমে মুছার এক আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। মূলত উন্নয়নকর্মী গায়ত্রী সিংয়ের সঙ্গে বাবুলের প্রেমের বিরোধ থেকেই স্ত্রীকে মিতুকে সরিয়ে দিতে এ কিলিং মিশনের পরিকল্পনা করেন বাবুল আক্তার।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্যগুলো জানিয়েছিলেন বাবুলের নিকটাত্মীয় সাইফুল। তিনি শুধু পিবিআইকের কাছেই এসব তথ্য স্বীকার করেন নি। সাক্ষী হিসেবে দেওয়া আদালতেও কিলিং মিশনের বিস্তারিত তুলেও ধরেছেন। মূলত এরপরই খুনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বাবুল আক্তারের নাম উঠে আসে। কেননা এর আগে কিলিং মিশনের দলনেতা হিসেবে মুছার নাম অন্য খুনিদের জবানবন্দিতে উঠে আসলেও কার নির্দেশে বা কে মাস্টার মাইন্ড তা স্পষ্ট ছিল না। এতোদিন পর স্পষ্ট হয়েছে মূলত, বাবুল আক্তারই মিতু হত্যার মাস্টার মাইন্ড ও নির্দেশদাতা।
২০১৫ সালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বাবুল আক্তার যখন কর্মরত ছিলেন তখনই উন্নয়নকর্মী গায়ত্রী সিংয়ের সঙ্গে বাবুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তা পরে তার স্ত্রী মিতু জানতে পারে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সালিশও হয়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে বাবুল আক্তার মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করে আর তার নিকটাত্মীয় সাইফুল ও মুছাকে কাজে লাগিয়ে এ হত্যাকা- করে জঙ্গিদের কাজ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। যদিও পুুলিশ জঙ্গি বিরোধী কাজ ধরে নিয়ে এগিয়ে গেলেও দুই সপ্তাহের মধ্যেই একে একে সব আসামি ধরা পড়ার পর তা স্পষ্ট হয় এটি জঙ্গি বিরোধী কাজ নয়। এমনকি জঙ্গিদের পক্ষ থেকে এ খুনের দায় অস্বীকার করে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছিল। পিবিআই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা মেলায় বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে আইনিভাবে বাদিকে গ্রেপ্তারের সুযোগ না থাকায় আদালতে তাকে হাজির করার পর তার পিতার মোশাররফ হোসেনের করা নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। একই সাথে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে আজ বুধবারই। নতুন মামলায় বাবুলকে প্রধান আসামি ও হত্যাকা-ে অংশগ্রহণকারীদের সহযোগি হিসেবে আসামি করা হবে।
এদিকে বুধবার বেলা ১২টার দিকে পিবিআই ঢাকা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘চৌকস পুলিশ অফিসার ছিলেন বাবুল আক্তার। অনেক কাজ করেছেন। তার স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি পরিগণিত। বাবুল আক্তার বাদি হয়েছিলেন। প্রথমে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা আসেনি। মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন কতদিন মামলা ঝুলে থাকবে। সে উত্তর খুঁজতে গিয়ে মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।’
পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘নড়াইলে একটা লোককে আমরা পর্যবেক্ষণে নিই। তার নাম গাজী আল মামুন। অপর বন্ধু সাইফুল হককেও পিবিআই ডাকে। দুজন ই বাবুলের বন্ধু। তারা সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে পুরনো মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। পিবিআই বাবুল আকতারকে ঢাকায় ডেকেছিল। গত বৃহস্পতিবার বাবুল বলেন উনি সোমবার ৯ টায় আসবেন। বাবুল পিবিআইকে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো আইজিপিকে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকেও জানানো হয়। এ অবস্থায় ব্যাক করার সুযোগ নেই।’
পিবিআই প্রধান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে মুসাকে দেখা যায়। মুসা নিয়মিত বাবুল আক্তারের বাসায় যেতেন। তার অনুপস্থিতিতে মুসা বাজারও করে দিতেন। পিবিআই জানার চেষ্টা করেছে মুসা সোর্স ছিল কিনা। এটাই পিবিআই প্রমাণের চেষ্টা করেছে। মিতু হত্যাকা-ের কিছুদিন আগে জঙ্গি হামলায় আহত হন বলে দাবি করেন বাবুল। মৃত্যুর পর যে আচরণ ছিল, তা ছিল সবচেয়ে আপনজন হারানোর মতো। তাই তার কথা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদিকে ইচ্ছে করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না। বাদিকে গ্রেপ্তার করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। খুলশি থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ। এটি দাখিলের পর নতুন মামলা হবে। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হতে পারেন। কথা হয়েছে তার সঙ্গে। তাকে পিবিআই চট্টগ্রাম নিয়ে গেছেন। নতুন মামলায় এক নম্বর আসামি হবেন বাবুল আক্তার।’
১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের প্রকাশ্য সড়কে গুলিতে ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ওই দিনই স্বামী তৎকালীন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত এসপি বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। অনেকবার আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন অগ্রগতি নেই। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকা-ের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। গোয়েন্দা পুলিশ এরআগেও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।
ফ্ল্যাশব্যাক ৫ জুন ২০১৬
চট্টগ্রামে জঙ্গি দমন অভিযানের জন্য আলোচিত বাবুল আক্তার সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি থেকে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগ দেন বাবুল আক্তার। এর কয়েক দিনের মাথায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে নগরীর জিইসি মোড়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। মোটরসাইকেলে করে আসা কয়েকজন সেখানে ছেলের সামনে তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকা-ের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবুল আক্তার।
এরপর চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততাও মিতু হত্যাকা-ের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে অল্পদিনেই সে ধারণা থেকে সরে আসেন তদন্তকারীরা। হত্যাকা- নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে ওই বছরে ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেওয়ার খবর ছড়ালেও সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না।
তার ২০ দিন পর ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বাবুলের অব্যাহতির আবেদন তার কাছে রয়েছে। আরও ২২ দিন পর ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্যে চুপ থাকা বাবুল আক্তার হত্যাকা-ের দুই মাস পর ফেসবুকে স্ত্রীকে নিয়ে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আবার আলোচনায় আসেন। মিতু হত্যার পর থেকে বাবুল ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও নতুন চাকরিতে (বেসরকারি) যোগ দেয়ার পর দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার মগবাজারে আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে শুরু করেন।
মামলায় উঠে আসে যাদের নাম
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মিতু হত্যা মামলায় ঘটনার পর সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এ চার বছরে অধরা মূল অভিযুক্ত নিদের্শদাতা মুছা। গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন, আনোয়ার, ওয়াসিম, এহতেশামুল হক ভোলা, সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু, শাহজাহান, আবু নাসের গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিন। এর মধ্যে আবু নাসের গুন্নু ও শাহজামান ওরফে রবিনের এ হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সাবেক সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
অপর চারজনের মধ্যে সাইদুল ইসলাম ওরফে সাকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তিনিই সরবরাহ করেছেন তার বড় ভাই মুসা সিকদার ওরফে আবু মুসাকে। মুসা এ মোটরসাইকেল চালিয়েই মিতু হত্যাকা-ে নেতৃত্ব দেয়। অপর তিনজনের মধ্যে এহতেশামুল হক ভোলা মিতু হত্যাকা-ে অস্ত্র সরবরাহকারী। শাহজাহান, ওয়াসিম ও আনোয়ার হত্যাকা-ে সরাসরি জড়িত ছিল। এ ছাড়া মিতু হত্যায় সন্দেহভাজনদের মধ্যে রাশেদ ও নবী নামে দু’জন রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
বর্তমানে পলাতক আছে মুসা সিকদার ও কালু নামে দু’জন। ওই সময়ে পলাতক মুসাকে ধরতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে সিএমপি। তবে এরপরও সে ধরা পড়েনি। গ্রেফতারদের মধ্যে ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মুসার পরিকল্পনায় তারা মিতুকে খুন করেছে বলে জবানবন্দিতে দাবি করে।
দ্রুত চার্জশিট চেয়েছেন মিতুর পিতা
মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ ও বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছি যে বা যারা মিতুকে হত্যা করে থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হোক। কিন্তু পুলিশ এখনও আমাদের জানাতে পারেনি কার নির্দেশে মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি বের করে আনতে এতো সময় লাগার কথা নয়। কোনো এক রহস্যজনক কারণে পুলিশ নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করতে পারেনি। চার্জশিটও দিচ্ছে না। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। তারা বিভিন্ন সময় এ খুনের পিছনে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তারও অভিযোগ তুলেছেন।
শনাক্ত হয়নি পরিকল্পনাকারী
এদিকে মিতুর স্বজনদের দাবি, মূল আসামিকে বাঁচাতে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে এ মামলার তদন্ত। তারা এ হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকেই ইঙ্গিত করছেন। যদিও তদন্তকারী সংস্থা কোনও সময়ে এ বিষয় মুখ খোলেনি। সিএমপির ডিবিতে বাবুল আক্তারের অধীনে একই টিম কাজ করেছিলেন। যদিও বা বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।
হত্যাকাণ্ডের পর বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জামাতার পক্ষে কথা বললেও পরে তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে জামাতার ‘পরকীয়া সম্পর্কের’ সন্দেহের ইঙ্গিত করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি এসব দাবি জানানোর পাশাপাশি ওই সময় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। বাবুল আক্তারের সঙ্গে উন্নয়নকর্মী গায়ত্রী সিং ও রাজধানীর বনানীর বিনতে বসির বর্ণি নামে দুই নারীর সম্পর্কের কথা বলেছিলেন তিনি।তবে সে সময় উল্টো শ্বশুরপক্ষ তাকে ঘায়েল করতে চাচ্ছেন অভিযোগ করে সঠিক তদন্তেই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে বলে দাবি করেছিলেন বাবুল আক্তার।