দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১২ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রোজা ৩০টি হলে শুক্রবার ঈদ। আর ২৯টি হলে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। পদ্মার তীরে ঠিক যেন জনসমুদ্র।
আজ বুধবার ভোর থেকেই বাড়িতে ফেরার জন্য মাওয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। তাদের মাঝে করোনা মহামারী সংক্রমণের বিন্দুমাত্র চিন্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে প্রত্যক্ষদর্শরা জানিয়েছে।
এ দিকে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দু’দিন আগে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এ অনুমতির পর মঙ্গলবার ঘাটে মানুষের চাপ বেড়ে যায়। আজ বুধবার সকাল থেকে তা আরো কয়েকগুণ বেড়েছে।
বুধবার সরেজমিন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জনস্রোত সামলাতে শিমুলিয়া ঘাটে বসানো হয়ছে চেকপোস্ট। আগের কয়েক দিনের মতোই এখনো ঘাটে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা। তারপরও মানুষের ঢল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাদেরকে মানানো যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও। বরং সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণ হিসেবে বিভিন্ন যুক্তি দেখাচ্ছে ঘরমুখো নিম্নআয়ের মানুষ। তাদের লক্ষ্য, যেভাবে হোক বাড়ি যেতে হবে। ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে নৌ পুলিশের মাইকিং ও তৎপতরায় ট্রলারে পার হওয়া যাত্রীর সংখ্যা কমেছে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, বুধবার কোনো ট্রলার জব্দ করা হয়নি। আমরা ঘাটে মাইকিং করে দিয়েছি যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক। কেউ যাতে ট্রলারে করে পদ্মা পার না হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ- বিআইডাব্লিউটিসির মাওয়া-শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। তবে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী চার শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানছে না এসব মানুষ। আর তাদের কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।’
তবে আজকে সন্ধ্যার মধ্যে মাওয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ কমে যাবে বলে আশা করছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।