ফরিদপুরে মহা সড়কের এক অংশ নিম্ন গামী, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ এএম, ১০ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঢাকা-খুলনা মহা সড়কে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া সেতু থেকে শুরু করে দক্ষিণে মুসলিম মিশন কলেজ পর্যন্ত এই এক কিলোমিটার সড়কের পূর্ব অংশে পাথর ভর্তি দশ চাকার ট্রাক চলায় দেবে গেছে। এ অবস্থায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে সব ধরণের যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বর্তমান থাকলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি ফরিদপুর সড়ক বিভাগ।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় দিয়ে দেখা গেছে সাদা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা সড়কের মধ্যভাগের পূর্বপাশের অংশে ট্রাকের চাকা বরাবর চাপে সড়কটি দুই ফুট করে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া ওই অংশের গভীরতা দুই থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত। সড়কের পাশে নেই কোন এ্যপ্রোচ সড়ক। ফলে বড় বড় যানবাহনের পাশাপাশি ছোট ছোট যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের যাতায়তের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।
কোমরপুর বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানদার রব্বানী বেগম (৪১) বলেন, দেড় বছর ধরে সড়কের ওই অংশ দেবে আছে। অথচ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। অথচ বর্তমানে তীব্র রোদের কারনে প্রতিনিয়ত দেবে যাওয়ার পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে মানুষের সমস্যার শেষ থাকে না। খাদে জমে থাকা পানি গাড়ির চাকায় ছিটকে পড়ে পথচারীদের কাদা-পানিতে ভিজিয়ে দেয়।
ফরিদপুর সদরের বৈঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক সুমন ইসলাম (৩২) বলেন, গাড়ি চালয়ে ফরিদপুর শহর থেকে বাড়িতে অসতে কোন সমস্যা হয় না, বিপদে পড়ি শহরে যাওয়ার পথে। সড়কের যে অবস্থা তাতে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা বড় বিপদের মুখে আছি। এপ্রোচ সড়ক না থাকায় যানবাহনের কারনে প্রায়ই পথচারীদের পাশের খাদে পড়ে যেতে হয়।
বাহিরদিয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন (৫৮) বলেন, সড়কের ওই অংশে প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ আহত হচ্ছে, ইজিবাইক উল্টে যাচ্ছে। এ অবস্থার দ্রুত প্রতিকার দরকার।
অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, মহা সড়কের ওই এক কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুবই নাজুক। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যান বাহন চলাচল করতে হয়, পথচারীদের চলতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের ওই অংশটি দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, সড়কের বাহিরদিয়া সেতু থেকে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প সড়ক বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের মধ্যে সড়কের ওই অংশ কেটে সমান করে তার উপরে একটি প্রলেপ দেওয়া হবে।