কুষ্টিয়ায় সাইফুলের গোডাউনে সরকারী চাউল মজুদের সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩১ এএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট মাদ্রাসা পাড়ার সাইফুলের ভাড়াকৃত গোডাউনে গত ২৯ এপ্রিল সাড়ে ১৩টন চাউলের মজুদ পাওয়া যায়। এই মর্মে বেশ কিছু স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ফুড অফিসকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ফুড অফিসার হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে আর তার সহযোগী হিসাবে আছেন জহুরুল আলম।
জহুরুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তে পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের সকল সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারি চাউল ব্যক্তি গোডাউনে মজুদ রাখা আইনত অপরাধ। কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সেভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ এপ্রিল সরজমিনে কবুরহাট মাদ্রাসা পাড়ার সাইফুল ওরফে খুনকারের গোডাউনে গিয়ে দেখা যায়, "শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ" স্লোগানের খাদ্য অধিদপ্তরের সিল সম্বলিত ৩০কেজির বস্তার সর্বমোট সাড়ে ১৩টন সরকারী চাউল ঐ গোডাউনে মজুদ আছে।
গোডাউনের মালিক সাইফুল ওরফে খুনকার জানান, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে এই সাড়ে ১৩টন চাউল তিনি ৩৮টাকা দরে ক্রয় করে ৪০টাকা দরে বিক্রি করছেন। কিন্তু চাউল ক্রয়ের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।